লাল ও হলুদ ব্যানারে লেখা রয়েছে, চোর তৃণমূলের নেতাদের কাছে সাধারণ মানুষের দাবি-এক, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরি করার জন্য পাওয়া টাকা থেকে নেওয়া কাটমানি অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। দুই, ১০০ দিনের বকেয়া মজুরি অবিলম্বে দিতে হবে ও কাজ চালু করতে হবে। তিন, রাতারাতি বড়োলোক হওয়া তৃণমূলের নেতাদের সাধারণ মানুষের। কাছে টাকার হিসেব দিতে হবে। চার, সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি কাজের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে যে কাটমানি নেওয়া হয়েছে তা ফেরত দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নির্দেশ নবান্নের
আরও পড়ুন: ঘুরে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ, বাংলার উপকূলে প্রভাব ফেলে কোন দিকে এগোবে সিত্রাং
এই ব্যানার ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিজেপির বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী জানান, কে বা কারা এই ব্যানার লাগিয়েছে তা জানি না। তবে ব্যানারের দাবিগুলো সাধারণ মানুষেরই দাবী। ১১ বছর ধরে সাধারণ মানুষের ওপর তৃণমূলের নেতারা যে ধরনের অত্যাচার করেছে এটা তাদের কাছে একটা সাবধানবাণী।
যদিও জেলা তৃণমুলের মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের অভিযোগ, সিপিএম ও বিজেপি যোগসাজশ করে রাতের অন্ধকারে এটা করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে তত তাঁরা রাতের অন্ধকারেই পোস্টার মারবে। কারণ দিনের আলোয় ঘোরার মতো লোক তাদের সঙ্গে নেই।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াচ্ছে বিরোধী দলগুলি। কালীপুজোর পর এ ব্যাপারে বিক্ষোভ আন্দোলন তারা আরও বাড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েতের বিভিন্ন দুর্নীতি থেকে শুরু করে প্রকল্প রূপায়নে ব্যর্থতার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করবে তারা। এর ওপর এলাকা এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও রয়েছে। এই ব্যানার সেসবেরই জের বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
শরদিন্দু ঘোষ