কুলটির ডেডিমাঠ এলাকা। এখানে রয়েছে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ডেডিমাঠ এলাকাটি মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত। বর্তমানে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রয়েছে ৩৮ জন পড়ুয়া। যার মধ্যে নিয়ম করে প্রতিদিন ২৫-২৬ জন পড়ুয়া এখানে আসে। এখানে আসেন এলাকার প্রসূতিরা। সব মিলিয়ে প্রত্যেকদিন ৫০ থেকে ৫২ জনের রান্না হয়। কিন্তু তাদের রান্নার জন্য কিনে আনতে হয় জল।
advertisement
আরও পড়ুন: আসানসোলের দ্বিতীয় বর্ষের এই মেয়েটিকে চেনেন! অভিনয় করেছেন দেবের খাদান সিনেমায়
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নেই পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা। আশপাশেও জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই জল কিনে আনতে হয়। অন্যদিকে এখানে বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। ফলে আলোর সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া গ্রীষ্মকালে ফ্যান চলে না এখানে। ফলে এই আইসিডিএস কেন্দ্রে আসা প্রসূতি থেকে পড়ুয়া, সকলকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। গলদঘর্ম হয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাদের।
আরও পড়ুন: বছর শেষে ঝটিকা সফরের ৫ সেরা স্পট, সময় লাগবে একদিন! খাওয়াদাওয়া সেরে বাড়ি ফিরুন
যদিও এই আইসিডিএস কেন্দ্রে শৌচালয় রয়েছে দুটি। কিন্তু সেগুলিও ব্যবহারের অযোগ্য। কারণ এই শৌচালয়গুলিতে নেই কোনও জানালা অথবা দরজা। সেগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি আইসিডিএস কেন্দ্রে কোনও সীমানা পাঁচিল নেই। প্রত্যেকদিন এখানে রাতে আসর বসে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই আইসিডিএস কেন্দ্রটি পরিচালনা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কর্মীদেরও। প্রাথমিক সুবিধাগুলি যাতে এখানে খুব দ্রুত পাওয়া যায়, সেই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা।
নয়ন ঘোষ