আরও পড়ুন: দূর হবে জলের কষ্ট, ১৫৫০ কোটি ব্যয়ে পাম্পিং স্টেশন
সেখানে উপস্থিত হন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়,হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য সহ বিশিষ্টরা। সাধু সন্তদের সঙ্গে গীতা হাতে পাঠ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ কল্যাণ বলেন, “পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের পর সব থেকে পুরনো মন্দির মাহেশের জগন্নাথ দেবের মন্দির। সারা বাংলার মানুষের আবেগ জগন্নাথ দেবের মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ সারা বছরই বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে। এটা নতুন কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে থাকার কারণে তিনি আসতে পারেননি। তাই আমাকে তার প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছে। ”
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের ছুটিতে ডে আউটের প্ল্যান? কলকাতার খুব কাছে হুগলির এই ৬ স্পট অবশ্যই ঘুরে আসুন
মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “বিশ্ব শান্তির যজ্ঞ বৈশিষ্ট্যময় প্রাচীন স্থানে হচ্ছে যেখানে পৃথিবীর সব থেকে পুরনো বিগ্রহ রয়েছে। যেখানে বলভদ্র সুভদ্রা ও জগন্নাথ দেব সেই স্থানে বিশ্ব শান্তির জন্য যোগ্য হচ্ছে এবং ভগবত গীতার পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করা হচ্ছে । ঈশ্বরের কৃপায় বিশ্ব শান্তি বিরাজ করুক। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি এখানে এসেছি, কিন্তু তিনি বিশেষ কাজে বাইরে থাকার জন্য আসতে পারেননি। মন্দির প্রাঙ্গণকে উন্নত করার জন্য উনি অনেক রকম সাহায্য করেছেন।”
এদিন গীতা পাঠে অংশ নিতে দেখা যায় বিজেপি হুগলি জেলা প্রাক্তন সভাপতি বর্তমান হাওড়া জেলা অবজারভার সুবীর নাগকে। সুবীর বলেন,লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের হুগলি জেলা আহ্বায়ক আমি।সেই কার্যক্রমকে সফল করতে বিভিন্ন মন্দিরে গীতা পাঠ চলছে।মাহেশ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল আমার বন্ধু সম। এই গীতা পাঠও লক্ষ গীতা পাঠের প্রস্তুতি।ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যে কেউ আসতে পারে। এই বিষয়ে মহেশের সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন, “মাহেশ ৬২৭ বছরের প্রাচীন।মাহেশ যেটা করে সেটা স্বতন্ত্র। ব্রিগেডের লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। ব্রিগেডে আমন্ত্রন পেলে অবশ্যই যাব।”
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পরে এএদিন জগন্নাথ মন্দিরে আসেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচি। তার মুখেও শোনা যায় একই রকম কথা। সমস্ত রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে গীতা পাঠের জন্যই এখানে তার আসা এমনটাই জানান কৌস্তব। রবিবার মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে গীতা পাঠ ও বিশ্ব শান্তির যজ্ঞ উপলক্ষে এক ছাদের নিচে তিনটি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একত্রিত হতে দেখা যায়। একই মঞ্চে দেখা যায় বিজেপি কংগ্রেস এবং তৃণমূলের শীর্ষ প্রতিনিধিদের। যা দেখে নেটিজেনরা বলছেন, ভগবত গীতাই পারে সব রাজনীতিকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে।
রাহী হালদার