তদন্তে নেমে পুলিশ মনে করছে, একাধিক ব্যক্তি নজরদারি ছিল শ্যুট আউটের ঘটনায়। টিম ওয়ার্ক কাজ করেছে রাজু খুনে। গাড়ি আনা হয়েছে দিল্লি থেকে। শার্প শ্যুটারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। এরপর তাদের পর পর জানানো হয়েছে রাজু ঝায়ের গতিবিধি। এতকিছুর পেছনে কে বা কারা ছিল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ মনে করছে, নিখুঁত অপারেশনের জন্য কয়েকটি গ্রুপকে ব্যবহার করা হয়েছিল। যাদের পরস্পরের মধ্যে সরাসরি কোনও লিঙ্ক নেই। অলক্ষ্যে থেকে সব কটি গ্রুপকে এক সূত্রে গেঁথে রেখেছিলেন একজনই।
advertisement
কে সেই অলক্ষ্যে থাকা ব্যক্তি? রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডও কি তবে সেই জন? নাকি, শুধুমাত্র রাজু খুনের সুপারি নিয়েছিল সে? যেভাবে সুপরিকল্পিতভাবে অপারেশন চালানো হয়েছে, তাতে পুলিশকর্তাদের অনুমান, খুব বড় মাথা ছাড়া এই কাজ করা অসম্ভব।
গত শনিবার সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন করা হয়েছিল কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে। সিট গঠন করে তদন্তে নেমেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। তদন্তে নেমে পদে পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে। লিঙ্ক হারিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পুলিশ তদন্তে উঠে এসেছে, পুরো অপারেশনে বেশ কয়েকটি গ্রুপকে ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রতিটি গ্রুপের 'কাজ' ভাগ করা ছিল।
আরও পড়ুন: ১০ শতাংশ কমতে চলেছে রান্নার গ্যাসের দাম! নতুন ফর্মুলা আনছে কেন্দ্র, ফিরবে কি স্বস্তি!
একটি গ্রুপের দায়িত্ব ছিল চোরাই গাড়ির ব্যবস্থা করা। গাড়ি নিয়ে অন্য একটি গ্রুপের হাতে পৌঁছে দেওয়া। অপর একটি গ্রুপের দায়িত্ব ছিল শার্প শুটারদের গাড়িতে তুলে স্পটে পৌঁছে দেওয়া। সেই সঙ্গে রাজুর গতিবিধি সম্পর্কে শার্প শ্যুটারদের আপ-টু-ডেট খবর পৌঁছে দেওয়ারও কাজ করেছে একজন।
জানা গিয়েছে, দিল্লির জনকপুরী থানা এলাকা থেকে চুরি করা নীল ব্যালেনো গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল রাজু হত্যায়। সেই গাড়ির মালিক আবার হরিয়াণার গুরগাঁওয়ের বাসিন্দা। খুনে ব্যবহৃত গাড়িতে নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হয়েছিল কলকাতার একটি নীল ব্যালেনো গাড়ির।