কলকাতা: মূল শহরে যানজটের চাপ কমাতে শহরের পূর্ব প্রান্ত ধরে তৈরি হয়েছিল বাইপাস। কিন্তু, এখন সেই বাইপাসও সকাল সন্ধে গাড়ির চাপে স্তব্ধ হযে যায়। কিন্তু, এবার সেই জন্যেও নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। শহরের ব্যস্ততম রুট ই এম বাইপাসকে যানজটের চাপ মুক্ত করতে নেওয়া হচ্ছে দু'দুটো বিশেষ পদক্ষেপ। একদিকে রুবির মোড়ে তৈরি হচ্ছে স্কাইওয়াক, অন্যদিকে, বাইপাসের দুই প্রান্ত জুড়ে তিন-তিন ছয় লেনের ফ্লাইওভার। ঠিক রয়েছে পরিকল্পনায়, আসুন জেনে নিই। (ছবি: শিল্পীর কল্পনায় মূল ছক)
রুবি মোড়ে যানজট মুক্ত রাখতে চায় পুলিশ। তাই রুবির মোড়ে কেএমডিএ তৈরি করতে চলেছে স্কাইওয়াক। এই স্কাইওয়াক তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। রাস্তা থেকে স্কাইওয়াকের উচ্চতা হবে ৭.৫ মিটার। থাকতে চলেছে তিনটি এলিভেটর। থাকবে ৮ টি এসক্যালেটরও। এই স্কাইওয়াক সংযুক্ত হবে রুবি মেট্রো স্টেশনের সাথে। এই প্রকল্পের সমীক্ষা করেছিল RITES। আগামী পুজোর মধ্যে কাজ শেষ করতে চায় কেএমডিএ। (ছবি: প্রতীকী)
এছাড়া, ই এম বাইপাসের উপরে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজও শুরু হতে পারে শীঘ্রই। বাইপাসের দুই প্রান্ত জুড়ে তিন, তিন করে ছয় লেনের এই ফ্লাইওভার হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা RITES ইতিমধ্যেই এই উড়ালপুলের বিষয়ে ড্রাফট পরীক্ষা করে পাঠিয়ে দিয়েছে কেএমডিএ-র কাছে। শহরের গতি বাড়াতে একাধিক উড়ালপুলের প্রস্তাব করেছে রাজ্য নগরায়ণ দফতর। তার মধ্যে অন্যতম হল বাইপাসের উপর এই নয়া উড়ালপুল। (ছবি: প্রতীকী)
নিত্যদিন, ভিআইপি বাজার থেকে অভিষিক্তা মোড় পর্যন্ত অফিস টাইমে ব্যাপক যানজট হয়। সেই যানজট মেটাতে প্রয়োজন ছিল একটি উড়ালপুলের। যেহেতু বাইপাসের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো রেলের নির্মাণ রয়েছে তাই এখানে নয়া কাঠামো নির্মাণে অসুবিধা রয়েছে। তাই বাইপাসের দু'প্রান্ত ধরে বানানো হবে এই উড়ালপুল। দুটি প্রান্তই হতে চলেছে ৩ লেন করে। ফলে যে সংখ্যক গাড়ি চলাচল করে, বাইপাস ধরে, তা যাতায়াতে কোনও অসুবিধা হবে না বলেই জানাচ্ছে কেএমডিএ। (ছবি: প্রতীকী)
ভিআইপি বাজার থেকে ওঠা ফ্লাইওভার নামবে মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারিতে। এই অংশ থেকে একটি প্রান্ত নামবে অভিষিক্তা মোড়ে। RITES সূত্রে খবর, এই অংশ মেট্রো লাইনের অনেকটা উপর দিয়েই নামবে। যা যুক্ত করবে আনোয়ার শাহ রোডকে। এই অংশের সর্বাধিক উচ্চতা হবে প্রায় ২০ মিটারের কাছাকাছি। গোটা উড়ালপুল হবে মেট্রোর পিলারের চেয়ে উঁচু। সাধারণত, মেট্রোর পিলারের উচ্চতার উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এটিকে। সেভাবেই নকশা করেছে RITES। (ছবি: প্রতীকী)
এই উড়ালপুল হতে চলেছে প্রায় ৩ কিলোমিটার লম্বা। এই উড়ালপুলের একটি প্রান্ত নামবে অভিষিক্তা মুখী অংশে রুবি মোড়ের কাছে। ফলে যে সব গাড়ি বিমানবন্দর থেকে এসে গড়িয়াহাটের দিকে যেতে চান তারা এটা ব্যবহার করবেন। দক্ষিণমুখী একটি প্রান্ত নামবে অভিষিক্তার কাছে সেখান দিয়ে যে সব গাড়ি যাদবপুর যেতে চায় তারা যাবে। আবার অভিষিক্তা থেকে উত্তরমুখী একটা র্যাম্প বানানো হবে। ফলে যে সব গাড়ি যাদবপুর থেকে সায়েন্স সিটি আসবে তারা এই র্যাম্প ধরতে পারবে।(ছবি: প্রতীকী)