ধৃত আরাফত শেখ ওরফে হাবলু,ফজলু মল্লিক ও ওয়াজেদ শেখ ওরফে মধু সকলেরই বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। বুধবার তাঁদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
আরও পড়ুন: করোনা বিধি না মানলে বন্ধ ভারত জোড়ো যাত্রা! রাহুল গান্ধিকে চিঠি স্বাস্থ্য় মন্ত্রী মাণ্ডব্য়র
মঙ্গলবার আসানসোল থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের বেচারহাট এলাকায় একটি গরুবোঝাই গাড়ি দেখতে পান আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি দাঁড় করিয়ে গরুবোঝাই গাড়িটিকে দাঁড় করান। গরু নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথি দেখতে চান। সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে অবৈধ গরুপাচারের অভিযোগ তোলেন তিনি। এমনকি, অমানবিকভাবে গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখান তিনি।
advertisement
পরে গরুগুলিকে উদ্ধার করে পুলিশ। ৩ জনকে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ জানান বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সহ-সভাপতি শ্যামল রায়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ।
বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, "একটি গরুর পা থেকে রক্ত বেরচ্ছিল। এরপরই গাড়ি থামিয়ে চালকের কাছে গরু নিয়ে যাবার কাগজপত্র দেখতে চাই।" বিজেপি বিধায়ক জানান, গাড়ির চালক কোনও বৈধ কাগজ তাঁকে দেখাতে পারেননি। এরপরই তিনি প্রথমে স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বকে ফোন করে ঘটনাস্থলে ডাকেন। পরে বর্ধমান থানার পুলিশকেও ফোন করে বিষয়টি জানান। বর্ধমান থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৯ টি গরুর মধ্যে চারটি গরুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বাকিগুলোকে থানায় নিয়ে যায়।
পরে আরও চারটি গরুকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আনা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গরু-সহ গাড়িটি যে নিয়ে আসছিল তাঁর নাম মাধু মল্লিক। অভিযুক্তের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। গরুগুলিকে পুরুলিয়ার বড়তার হাট থেকে কুসুমগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গরু সহ গাড়িতে থাকা তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।