চাষিদের অভিযোগ, এবছরের অনিয়মিত ও অতিবৃষ্টির ফলে ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে এখনও সব ফুলের চারা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। কিছু ফুলের চারা সবে তৈরি হয়েছে মাত্র। সাধারণত শীতের শুরু থেকেই এই এলাকায় পাইকারদের ভিড় জমে। কিন্তু এবছর সেই ভিড় তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। চাষিদের আশা, শীত আরও কিছুটা বাড়লেই ফুল বিক্রির পরিমাণও ধীরে ধীরে বাড়বে।
advertisement
আরও পড়ুন : শুধু রয়েল বেঙ্গল টাইগার নয়, একসময় সুন্দবনের গর্ব ছিল বিরল ‘এই’ বিশাল প্রাণী! কিন্তু আজ ইতিহাস, জানেন কী?
ফুলচাষি গৌতম রায় বলেন, “বৃষ্টির কারণে আমাদের চারা তৈরিতে এবার দেরি হচ্ছে। কিছু কিছু ফুলের চারা তৈরি হয়েছে শুধুমাত্র। আশা করছি আর একটু শীত বাড়লে পাইকারদের সংখ্যাও বাড়বে এবং ফুলও ভালই বিক্রি হবে।” এই এলাকায় গাঁদা, জবা, গোলাপ, দোপাটি, লেডিবার্ড, নয়নতারা সহ নানান ধরনের ফুলের চারা উৎপন্ন হয়। এখানকার মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য একেবারে উপযুক্ত হওয়ায় বহু পরিবার এই চাষের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন : মদ খেয়ে গ্রামবাসীদের মারধরের অভিযোগ! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৭ জন গ্রেফতার
বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ফুলের চাষ শুরু করে তাঁরা চারা বিক্রি থেকে শুরু করে পরিপক্ক ফুল বিক্রির ব্যবসাও করেন। পলাশফুলি ও আশপাশের গ্রামগুলিতে প্রায় প্রতিটি ঘরেই ফুল চাষের চিহ্ন চোখে পড়ে। কেউ ছোট আকারে, কেউ বড় পরিসরে ফুল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই অঞ্চলের ফুল ও ফুলের চারা ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, এমনকি নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চল পর্যন্ত পাঠানো হয়। ভরা মরশুমে প্রতিদিনই এখানকার চাষিরা ট্রাকভর্তি ফুল পাঠান বাইরের রাজ্যে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফলে ফুল চাষই এখন তাঁদের প্রধান জীবিকার উৎস হয়ে উঠেছে। অনেক চাষি ফুল চাষ করে বছরে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। তবে এবছর বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন অনেকে। চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষিদের খরচও বেড়েছে। তার পরেও তাঁরা আশাবাদী আরও কিছুটা শীত পড়লেই চারা বিক্রি ও ফুলের উৎপাদন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে। তাঁদের বিশ্বাস, প্রকৃতি সহায় হলে আগামী মাস থেকেই বিক্রির জোয়ার আসবে আবার পলাশফুলির মাঠে মাঠে।





