শিশুদের মধ্যেও সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ছোটবেলা থেকেই তারা পরিবেশবান্ধব জীবনের স্বপ্ন গড়ে তুলতে শেখে। প্লাস্টিক বোতল কেটে রঙিন টব বানানো, পুরোনো কন্টেনার দিয়ে বাগান সাজানো, কিংবা প্লাস্টিকের টুকরো দিয়ে দেওয়ালচিত্র আঁকার মতো নানা কর্মশালা আয়োজন করা হল বেলপাহাড়ির তুলসীবনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। জঙ্গলমহলের মত এক সবুজ পরিমণ্ডলে দাঁড়িয়ে এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে নতুন দিশা দেখাচ্ছে।
advertisement
স্থানীয় শিল্পীদের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্কুল, লাইব্রেরি ও সাংস্কৃতিক মঞ্চকে প্লাস্টিক বর্জ্যের তৈরি শো-পিস ও সাজসজ্জার মাধ্যমে নয়া রূপ দেওয়া হয়েছে। আর্ট একাডেমির কর্ণধার সঞ্জীব মিত্র বলছেন, প্লাস্টিক বোতল যদি এভাবে প্রকৃতির আঁচলে ছড়িয়ে থাকে তবে তা মাটিকে বিষাক্ত করে তোলে, জল ও বাতাসে দূষণ ছড়ায়।
প্লাস্টিকের ক্ষতিকর বর্জ্য হতে পারে প্রকৃতি রক্ষার হাতিয়ার
কিন্তু সৃজনশীলতার ছোঁয়া দিলে সেই বোতলই রূপ নিতে পারে বাগানের টব, ঘরের সাজসজ্জার উপকরণ কিংবা রঙিন আলোর বাহারি শেডে। এর ফলে যেমন আবর্জনা কমবে, তেমনই সাধারণ মানুষ সহজেই ঘর-বাড়িকে নতুনভাবে সাজাতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ জল যন্ত্রণার সমাধান! বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নির্দেশে তড়িঘড়ি ছুটে এল সেচ দফতর, ডেবরায় খুশির হাওয়া
একদিকে প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, অন্যদিকে শিল্পের মাধ্যমে প্রকৃতিকে সজীব করে তোলা – এই দ্বিমুখী পরিকল্পনা ঝাড়গ্রাম আর্ট একাডেমির অনন্য প্রচেষ্টা হিসেবে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কলহন মণ্ডল বলছেন, আমরা প্লাস্টিক ফেলে দিই, সেটা যে আবার এত সুন্দরভাবে ব্যবহার করা যায় তা এই আর্ট একাডেমি না দেখালে বিশ্বাসই হত না’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্লাস্টিক দূষণ কমাতে সরকারি ও বেসরকারি স্তরে একাধিক প্রচেষ্টা নেওয়া হলেও, সাধারণ মানুষকে বাস্তবিকভাবে যুক্ত করার মত উদ্যোগ খুবই কম। তাই ঝাড়গ্রাম আর্ট একাডেমির এই ভাবনা বৃহত্তর আকারে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে।