জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযুক্ত প্রেমিকের সঙ্গে আলাপ হয় নির্যাতিতা নবম শ্রেণীর ছাত্রীর। তারপর একে অপরের নাম্বার দেওয়া নেওয়া। আর তারপর ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের ভরসায় অষ্টমীর রাতে বারুইপুর বাইপাস থেকে প্রেমিকের বাইকে ওঠেন নির্যাতিতা ওই ছাত্রী। তখন প্রেমিক ছাড়াও আরও একটি বাইকে প্রেমিকের দুজন বন্ধু ছিল। বারুইপুর শাসন বাইপাস থেকে সোজা বাইকে করে নির্যাতিতাকে বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার বেগমপুর কাটাখাল বাইপাসে নিয়ে যায় তার প্রেমিক।
advertisement
আরও পড়ুন : নামিদামি হোটেল ফেল! রাস্তার দোকানে সস্তায় পুষ্টিকর ‘এই’ রুটি কাঁপাচ্ছে বাজার! মাত্র ২০ টাকাতেই ভর্তি পেট
সেখানে নির্যাতিতাকে কোল্ড ড্রিংকসের সঙ্গে উত্তেজনা বর্ধনকারী ট্যাবলেট খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। তারপর বেগমপুর কাটাখাল বাইপাস থেকে উত্তরভাগে যাওয়ার রাস্তা থেকে ভেতরের একটি নির্জন গলি রাস্তায় ঢুকে নির্যাতিতাকে ধ*র্ষণ করে তার প্রেমিক। এমনই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। সেই সময়কার ভিডিও তুলে নির্যাতিতা নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেইল করে প্রেমিকের দুই বন্ধুও ধ*র্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপর রাতেই নির্যাতিতা নাবালিকাকে সীতাকুণ্ডুর কাছে তার আত্মীয়ের বাড়ির কাছে রেখে দিয়ে চলে যায় প্রেমিক।
আরও পড়ুন : রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা ভুলতে বসেছেন মানুষ, প্রায় সারাবছর কেটে গেল ডিঙিতে! পুজো মিটতেই ফের জলার তলায় ঘাটাল
পয়লা অক্টোবর নবমীর সকাল থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনকে খবর দেন তার আত্মীয়রা। নবমীর দুপুরে নির্যাতিতাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবারের লোকজন। নির্যাতিতার পরিবার বারুইপুর থানায় ২ অক্টোবর অভিযোগ দায়ের করে। ৩ অক্টোবর ওই নাবালক প্রেমিককে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরেরদিন তার এক বন্ধু আরমান আকুঞ্জকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন : স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য, স্বামী নিলেন চরম সিদ্ধান্ত! সাতসকালের দৃশ্য দেখে কেঁপে উঠল গোটা গ্রাম
যদিও এখনও পর্যন্ত অধরা নাবালক প্রেমিকের আরও এক বন্ধু। নাবালক প্রেমিককে জুভেনাইল আদালতে তোলে বারুইপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি নাবালক প্রেমিকের বন্ধু আরমান আকুঞ্জকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে তৃতীয় অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে বারুইপুর থানার পুলিশ। নির্যাতিতা নবম শ্রেণীর ছাত্রী এখনও বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।