TRENDING:

Pepsi Dadu: ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয়! আটাত্তরেও স্বনির্ভর! মাইলের পর মাইল হেঁটে উপার্জন পেপসি দাদুর 

Last Updated:

Pepsi Dadu: বয়স ৭৮ বছর, লাঠি ছাড়া সোজা হয়ে হাঁটতে পারেন না। বার্ধক্যেও সংসারের চাপে শরীর বেঁকে গিয়েছে। এই বৃদ্ধ বয়সে যখন অন্যান্য মানুষরা একটু সহানুভূতির আশ্রয়স্থল খোঁজেন সেখানে এই বৃদ্ধ আজও ঠায় কাজ করে চলেছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হুগলি: বয়স ৭৮ বছর, লাঠি ছাড়া সোজা হয়ে হাঁটতে পারেন না। বার্ধক্যেও সংসারের চাপে শরীর বেঁকে গিয়েছে। এই বৃদ্ধ বয়সে যখন অন্যান্য মানুষরা একটু সহানুভূতির আশ্রয়স্থল খোঁজেন সেখানে এই বৃদ্ধ আজও ঠায় কাজ করে চলেছেন। কাজ করছেন তিনি পরিবারের জন্য সংসারের জন্য। নিজের শেষ বয়স পর্যন্ত স্বাবলম্বী থাকার জন্য। চৈত্রের চাঁদিফাটা গরমের মধ্যে প্রতিদিন রাস্তার মানুষদের চরিত্রের তীব্র গরমের মধ্যে পথ চলতি পিপাসু মানুষদের তৃষ্ণা মেটান পেপসি দাদু।
advertisement

স্থানীয় মানুষ পেপসি দাদু বললেও তাঁর আসল নাম রাজকুমার চৌধুরী। বিহারের বেগুসারাই গ্রামের বাসিন্দা তিনি। আজ থেকে বছর তিরিশ আগে কাজের সন্ধানে ছেলেমেয়েদের নিয়ে চলে এসেছিলেন বাংলায়। এখানে এসে রিষড়ার এনএস রোডে থাকতে শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর পরিবারের রয়েছে ছেলে ও ছেলের বউ। সংসারের হাল ধরতে ৭৮ বছর বয়সেও মাইলের পর মাইলে হেঁটে পেপসি বিক্রি করছেন এই বৃদ্ধ।

advertisement

আরও পড়ুন: একটি গাড়ির AC কত টনের হয়…? ৯৯% মানুষই দিলেন ‘ভুল’ উত্তর, আপনি জানেন?

প্রতিদিন সকালবেলা ১৫০ পেপসি কিনে, থার্মোকলের বাক্স নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বিক্রি করতে। রিষড়া থেকে শুরু হয় হাঁটা, শেষ হয় বালি স্টেশনে এসে। দীর্ঘ ১০-১২ কিলোমিটার পথ তিনি পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন পেপসি। এতে সারাদিনের আয় হয় তার ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। তবুও কারও কাছে সাহায্যের হাত পাতবেন না বলে এই বয়সে নিজেই এখনও কাজ করে চলেছেন।

advertisement

আরও পড়ুন: ব্রহ্মাস্ত্র সমান…! গ্রীষ্মে ‘এই’ লাল শাক খান, হুড়হুড়িয়ে ওজন কমবে, ১০০% কব্জায় রাখে বিপি! গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আশীর্বাদ

এই বিষয়ে ওই বৃদ্ধ জানান, গরমকালে তিনি ঘুরে ঘুরে পেপসি বিক্রি করেন। শীত পড়লে পেপসির বদলে বিক্রি করেন পাপড়। তার বার্ধক্যের কারণে এখন হাঁটতে সমস্যা হয় সেই কারণে লাঠি নিয়ে হাঁটতে হয় তাঁকে। আর এই পেপসি বিক্রির কাজ তিনি বহু বছর ধরেই করছেন। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে পেপসি বিক্রি করার ফলে এখন বেশিরভাগ লোকজন তাঁকে পেপসি দাদু বলে ডাকে। স্কুল-কলেজের সামনে কিংবা পথ চলতি মানুষই তাঁর খরিদ্দার। এই ভাবেই চলছে তাঁর জীবন। আর এই ভাবেই বাকি জীবন তিনি কাটাতে চান কারণ যতদিন জীবন থাকবে ততদিন তিনি নিজেই খেটে খাবেন এমনই বলছেন পেপসি দাদু।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
গড়বেতায় রহস্যময় পদচিহ্ন, এলাকাজুড়ে বন্য জন্তুর ভয়
আরও দেখুন

রাহী হালদার

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Pepsi Dadu: ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয়! আটাত্তরেও স্বনির্ভর! মাইলের পর মাইল হেঁটে উপার্জন পেপসি দাদুর 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল