স্থানীয় মানুষ পেপসি দাদু বললেও তাঁর আসল নাম রাজকুমার চৌধুরী। বিহারের বেগুসারাই গ্রামের বাসিন্দা তিনি। আজ থেকে বছর তিরিশ আগে কাজের সন্ধানে ছেলেমেয়েদের নিয়ে চলে এসেছিলেন বাংলায়। এখানে এসে রিষড়ার এনএস রোডে থাকতে শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর পরিবারের রয়েছে ছেলে ও ছেলের বউ। সংসারের হাল ধরতে ৭৮ বছর বয়সেও মাইলের পর মাইলে হেঁটে পেপসি বিক্রি করছেন এই বৃদ্ধ।
advertisement
আরও পড়ুন: একটি গাড়ির AC কত টনের হয়…? ৯৯% মানুষই দিলেন ‘ভুল’ উত্তর, আপনি জানেন?
প্রতিদিন সকালবেলা ১৫০ পেপসি কিনে, থার্মোকলের বাক্স নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বিক্রি করতে। রিষড়া থেকে শুরু হয় হাঁটা, শেষ হয় বালি স্টেশনে এসে। দীর্ঘ ১০-১২ কিলোমিটার পথ তিনি পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন পেপসি। এতে সারাদিনের আয় হয় তার ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। তবুও কারও কাছে সাহায্যের হাত পাতবেন না বলে এই বয়সে নিজেই এখনও কাজ করে চলেছেন।
এই বিষয়ে ওই বৃদ্ধ জানান, গরমকালে তিনি ঘুরে ঘুরে পেপসি বিক্রি করেন। শীত পড়লে পেপসির বদলে বিক্রি করেন পাপড়। তার বার্ধক্যের কারণে এখন হাঁটতে সমস্যা হয় সেই কারণে লাঠি নিয়ে হাঁটতে হয় তাঁকে। আর এই পেপসি বিক্রির কাজ তিনি বহু বছর ধরেই করছেন। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে পেপসি বিক্রি করার ফলে এখন বেশিরভাগ লোকজন তাঁকে পেপসি দাদু বলে ডাকে। স্কুল-কলেজের সামনে কিংবা পথ চলতি মানুষই তাঁর খরিদ্দার। এই ভাবেই চলছে তাঁর জীবন। আর এই ভাবেই বাকি জীবন তিনি কাটাতে চান কারণ যতদিন জীবন থাকবে ততদিন তিনি নিজেই খেটে খাবেন এমনই বলছেন পেপসি দাদু।
রাহী হালদার






