রাত যত গভীর হয়েছে, ভিড় বেড়েছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। বর্ধমানের লাল্টু স্মৃতি সংঘ হোক বা সবুজ সংঘ, কিংবা পদ্মশ্রী সংঘ সর্বত্রই শুধুই জনস্রোত দেখা গিয়েছে। শুধু তাই কেন, ব্যাপক ভিড় হয়েছিল বর্ধমানের আলমগঞ্জ বারোয়ারি, বাজে প্রতাপপুর ট্রাফিক কলোনি-সহ সব বড় বাজেটের পুজো মণ্ডপেই। দর্শনার্থীরা বলছেন, " সপ্তমী অষ্টমী নবমী তিন দিনই বৃষ্টির চোখরাঙানি ছিল। বারে বারেই আকাশ মেঘে ঢেকে গিয়েছিল। বৃষ্টিও ঝরেছে মাঝেমধ্যেই।" তবে তা উপেক্ষা করেই দর্শনার্থীরা বেরিয়েছেন প্রতিমা মণ্ডপ দর্শনে। তবে দশমীর সারাদিনই বর্ধমানে ছিল রোদ ঝলমলে পরিবেশ। দুপুরের দিকে একবার আকাশ মেঘে ঢাকলেও বৃষ্টি হয়নি। সন্ধ্যার পর থেকে আকাশ ছিল মেঘমুক্ত।
advertisement
আরও পড়ুন : রাজপথে হাঁটু মুড়ে বসে মা সনিয়ার জুতোর ফিতে বেঁধে দিলেন রাহুল গান্ধি, নিমেষে ভাইরাল ভিডিও
বর্ধমানে শুধু এই শহরের বাসিন্দারা নয়, আশপাশের জেলা থেকে, গ্রামাঞ্চল থেকে এদিন অগণিত দর্শনার্থী শহরে ভিড় করেছিলেন। সেই ভিড় আঁচ করেই অশান্তি এড়াতে বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছিল জেলা পুলিশও। এদিন শহরে পণ্যবাহী যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছিল। অন্যান্য দিনের মতোই শহরের রাস্তায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এছাড়াও সতর্ক নজর রাখা হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরায়।
আরও পড়ুন : বুদ্ধির জোর কতখানি! দেখুন দেখি ছবিতে কোথায় লুকিয়ে বৃদ্ধের স্ত্রী
সাদা পোশাকের পুলিশ মিশেছিল জনতার ভিড়ে। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলা বাহিনীকেও নামানো হয়েছিল ভিড় সামলাতে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়তি নিরাপত্তার কারণে এবার পুজো নির্বিঘ্নে পালিত হয়েছে। গত দু বছর করোনার কারণে ভিড় অনেক কম ছিল। এবার বাড়তি ভিড় হবে আঁচ করেই বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। সে কারণেই অশান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই শহরে।