গ্রামের ছোট নেতা থেকে বড় নেতা, কেউই সাহস পেত না অর্পিতা কিংবা তার মামার বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে। গ্রামে গিয়ে শোনা গেল অর্পিতার মামাদের কোনও একটি জায়গাতে সরকারি টিউবওয়েল ছিল।অর্পিতার আপত্তিতে সেই টিউবওয়েলটি তুলে নিতে বাধ্য হয় পঞ্চায়েত। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুই মামাতো ভাই কুন্তল চক্রবর্তী ও বাপ্পা চক্রবর্তী দুজনেই সরকারি চাকরি করেন। ওই দুজনের পড়াশোনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেই গ্রামের লোক মুচকি হেসে বলেন, ''কোনও ভাবে টেনেটুনে পাশ করেছিল মাধ্যমিকটা। সেই অর্পিতার আবদারে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের ক্ষমতাবলে দুজনের চাকরি করে দিয়েছিলেন।''
advertisement
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী? জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ
গ্রামের লোকেরা এ নিয়ে মুখ খুললেও কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে নারাজ।দুর্গাপুজার সপ্তমীর বিকেল কিংবা অষ্টমীর সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় পৌঁছতেন তাঁর মথুরাবাটির বাংলোতে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, পার্থ বাবুর বাংলোর ভেতরের পুকুরে বসে ছিপ ফেলে মাছ ধরতেন। তবে অর্পিতা এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আচার-আচরণে রীতিমতো নাকি লজ্জা পেতেন গ্রামের লোকেরা।
আরও পড়ুন: চাকরি নিয়োগ দুর্নীতির ১ নম্বর কিংপিন কে? শুভেন্দু অধিকারীর দাবিতে তোলপাড় বাংলা
সপ্তমীর আগে থেকেই স্থানীয় থানা মথুরাবাটি গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসত। যার ফলে নির্বিঘ্নে গ্রামে ঘোরাফেরা করা কষ্টকর হয়ে পড়ত গ্রামবাসীদের। সবাই অর্পিতা এবং পার্থর কাণ্ডকারখানায় আড়ালে কথা বলতেন। কিন্তু ক্ষমতাশালী মানুষের বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতেন না। কারণ টাকার বিনিময়ে গ্রামে নাকি প্রচুর চর লাগিয়ে রেখেছিল অর্পিতা। দুজনেই এখন জেলে, এবার তাই দুর্গা পুজোটা সবার ভাল কেটেছে, দীপাবলিও আনন্দে কাটাবে সবাই। এমনটাই মত গ্রামবাসীদের।