একদিকে জেসিবি এনে বড় মাপের নিকাশির কাজ চলছে, অন্যদিকে প্রধান নিজে হাত লাগিয়েছেন পাড়ার অলিগলিতে। চট করে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে না। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে প্রধানের এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন বাড়ছে মানুষের আস্থা, তেমনই তৈরি হচ্ছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুনঃ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকে সোজা ভারতে! ফের ধরা পড়ল ২ বাংলাদেশি
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, ‘কোনও জনপ্রতিনিধিকে এমনভাবে আগে দেখিনি। উনি শুধু অফিসে বসে নির্দেশ দেন না, মাঠে নেমে কাজ করেন’। এই উদ্যোগে পাড়া জুড়ে ছড়িয়েছে প্রশংসার সুর। নর্দমার পাশ ঘেঁষে জমে থাকা প্লাস্টিক ও ময়লা পরিষ্কারে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচারও চালাচ্ছেন পঞ্চায়েত কর্মীরা- কেউ যেন আর বর্জ্য না ফেলে নিকাশিনালায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এর পাশাপাশি ডেঙ্গির উৎস বন্ধ করতে প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে একটি বিশেষ ‘জলবন্দি এলাকা নজরদারি কমিটি’। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে জল জমা স্থান চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন ‘এভাবে পাশে থাকলেই জনপ্রতিনিধি আসল নেতা হয়ে ওঠেন’। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু বর্ষার সময়ে নয়, বর্ষা-পূর্ব পরিকল্পনা থাকলে জলমগ্নতার এই সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধযোগ্য। গ্রামের পুরনো নিকাশিনালা ও খালগুলির সংস্কার, নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার ও দীর্ঘমেয়াদি ড্রেনেজ প্ল্যানিং না থাকায় প্রত্যেক বছর একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।