বুধবার আইনজীবী মারফত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃত নৃত্যশিল্পী ও ইভেন্ট ম্যানেজার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মা তনুশ্রী। তাঁরাও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন উত্তর খুঁজতে। এদিকে সুতন্দ্রার গাড়ির চালক এবং সঙ্গীরা প্রথম দাবি করেন, ইভটিজিং হয়েছিল। তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারা হয়েছিল। তাঁদের গাড়ি ধাওয়া করা হচ্ছিল। জাতীয় সড়ক থেকে নেমে সার্ভিস রোডে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় পড়ে তাঁদের গাড়ি।
advertisement
পুলিশ ইভটিজিংয়ের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনে। আর তারপরেই সুতন্দ্রার গাড়ির চালক রাজ দেও শর্মা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে বলেন, ‘সুতন্দ্রা ম্যাডাম বলেছিল সাদা গাড়িকে ধাওয়া করে ধরতে। তাই তিনি একশো কিমি বেগে ওই সাদা এসইউভি গাড়িকে ছুটিয়ে নিয়ে যান। আর তখনই দুর্ঘটনায় পড়েন।’
সুতন্দ্রার ঠাকুমা কল্পনা চট্টোপাধ্যায় ও তার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায় বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। তাঁদের যে সমস্ত প্রশ্নগুলি এখনও মনে খটকা দিচ্ছে সেগুলি হল, গাড়িতে যারা ছিল তাদের কিছু হল না। শুধু সুতন্দ্রার মৃত্যু হল। কেন? সুতন্দ্রার ফোন বন্ধ রাখত না। দুর্ঘটনার আগেও ফোনে কথা বলছিল বলে জানিয়েছিল ওর সঙ্গীরা। যখন সুতন্দ্রার আই ফোন তাঁর মা হাতে পায় তখন সেটি ফ্লাইট মোডে ছিল। কেন? গাড়ি এত গতিতে ছুটছিল। কেন? গাড়ি দুর্ঘটনার সময় এয়ারব্যাগ খোলেনি। কেন? এমনই অনেক কেনর উত্তর মিলছে না। সত্যিটা কী, সেটা জানতে চান আগেই জানিয়েছিলেন সুতন্দ্রার মা, বুধবার তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
রাহী হালদার