পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ভ্রমণ সংস্থার অফিস রয়েছে। জেলার সদর শহর তমলুক এই অন্যতম। নামে দুটি ভ্রমণ সংস্থা জঙ্গি হামলার আগেই পর্যটকদের কাশ্মীর নিয়ে গিয়েছিল। আবারো তাদের যাওয়ার কথা ছিল গ্রীষ্মকালীন স্কুল কলেজ ছুটি শুরু হলে। আগে থেকে বুকিং করা থাকলেও পর্যটকেরা সেই বুকিং এখন ক্যান্সেল করেছে। তার বদলে সংস্থার কাছে সিমলা, কুলু, মানালি হিল স্টেশনে ব্যবস্থা করে দিতে বলছেন। কিন্তু গ্রীষ্মকালীন এই ভরা পর্যটন মরশুমে কাশ্মীরের মতো পর্যটন কেন্দ্র কার্যত আতঙ্কেই পর্যটকেরা না যেতে চাওয়ায় অন্য হিল স্টেশনে চাপ পড়েছে। আর তাতেই সমস্যা পড়েছে জেলা জুড়ে বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থাগুলি।
advertisement
তমলুকের অন্যতম নামি ভ্রমণ সংস্থার অফিস এক্সিকিউটিভ জানান, ‘এপ্রিল মাসের শেষ দিন থেকেই স্কুল-কলেজে গ্রীষ্মকালীন ছুটি পড়ছে। অনেকেই কাশ্মীরের ছুটি কাটানোর জন্য এই সময়টা বেছে নিয়েছিল। কিন্তু জঙ্গি হামলার পরেই পর্যটকেরা কাশ্মীর বাতিল করছে। তার বদলে পর্যটকেরা সিমলা, কুলু, মানালি ও শিলং এর মত পর্যটনকেন্দ্রকে বেছে নিচ্ছে। কিন্তু এই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রায় এক থেকে দেড় মাস আগেই বুক করতে হয়। এত কম সময়ে কিভাবে ট্যুর অ্যারেঞ্জ করা যায় সে নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে অংশ নিতে চায় অন্য দেশ! দুই দেশকে বিশেষ প্রস্তাব ভারতের বন্ধুর
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা এই গরমের ছুটিতে কাশ্মীর যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন তারা সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। ট্রেনের টিকিট, বুকিং থাকা হোটেল বাতিলের জন্য ভ্রমণ সংস্থাগুলিতে যোগাযোগ করছে। আগে থেকে এই কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়ার বুকিং এ অন্যত্র যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বলছে সংস্থাগুলিকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সিমলা, কুলু, মানালি বা শিলং এর মত পর্যটনকেন্দ্র গুলিতে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট আবার থাকার জন্য হোটেল পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে এই কাশ্মীরে জঙ্গি হানার ঘটনা প্রভাব ফেলেছে জেলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ভ্রমণ সংস্থাগুলির উপর।





