বর্ষাকালে অতিবৃষ্টির কারণে অনেক সময় ধান চাষে সমস্যা দেখা যায়, যেমন বীজতলা নষ্ট হওয়া বা ধান রোপনের পর জল জমে পচে যাওয়া। এছাড়াও জমিতে লবণাক্তের পরিমাণ বেশি থাকায় উপকূলবর্তী জেলায় ধান চাষের ক্ষতি হচ্ছে বছরের পর বছর। এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি এলাকার কৃষকেরা জানান, উপকূলবর্তী অঞ্চল হওয়ায় বর্ষাকালে নোনা জলের আধিক্য থাকে জমিতে। ফলে ধান রোপনের পর গাছ মারা যায়। এর পাশাপাশি অতিবৃষ্টি বন্যায় ধান চাষ ক্ষতি হয়। বছরের পর বছর ধান চাষে ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে উপকূলবর্তী এলাকার কৃষকদের।
advertisement
আরও পড়ুন: কয়েক ঘণ্টাতেই কোটি কোটি টাকা! রথযাত্রার দিনেই লটারি লাগল যাত্রাশিল্পে! আশার আলো শিল্পীদের চোখেমুখে
উপকূলবর্তী এলাকার কৃষকদের বর্ষাকালীন আমন ধান চাষে ক্ষতি কমাতে বাড়তি পদক্ষেপ গ্রহণ করল পূর্ব মেদিনীপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র। কৃষকদের অত্যাধুনিক মানের বীজধান দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই বীজধান জমির লবণাক্তের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি কৃষকদের জমির মাটির পরীক্ষা বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা নিয়েছে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। এর পাশাপাশি ধান চাষের সঙ্গে বর্ষাকালে চাষের জমিতেই কীভাবে সবজি চাষ করা যায় তার পদ্ধতি কৃষকদের শেখাচ্ছে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উপকূলের লবণাক্ত জমিতে কীভাবে ধান চাষ লাভজনক করা যায় সে বিষয়ে, কেন্দ্রীয় কৃষি মৃত্তিকা লবণাক্ত অনুসন্ধানের প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ ধীমান বর্মন জানান, ‘বর্ষাকালে উপকূলবর্তী এলাকায় ধানের জমিতে লবণাক্তের পরিমাণ বেশি থাকলে, মাটি পরীক্ষা করা জরুরি। মাটি পরীক্ষার পর যে ধরনের ধান রোপন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায় সেই ধান রোপন করতে হবে। বীজতলার সময় খেয়াল রাখতে হবে বীজ তলায় কোনওভাবে লবণ জল প্রবেশ না করে এর পাশাপাশি ধানের যখন ফুল আসবে তখন বিশেষ যত্ন নিতে হবে।’ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ধানের জমিতে আমন ধান চাষের পাশাপাশি বর্ষাকালে সবজি চাষের উৎসাহ দিচ্ছে। খেজুরি এলাকার কৃষকেরা জানান এই পদ্ধতিতে ধান চাষ তাদের আগামী দিনে লাভের পথ দেখাবে।
সৈকত শী