দুর্গাপুজো মানেই গোটা একটা বছরের অপেক্ষা। শহরের আনাচে-কানাচে যখন পুজো-প্যান্ডেলের আলো, কোলাহল, তখন একদল প্রবীণ মানুষ এবং অনাথ শিশুরা যেন বৃদ্ধাশ্রম এবং অনাথ আশ্রমের চার দেওয়ালের মাঝে বন্দী।
advertisement
তবে এবারে এক অন্য দৃশ্যের সাক্ষী রইল ডায়মন্ড হারবার। কেউ হাঁটতে পারেন না, কেউ চলাফেরায় অক্ষম, কেউ আবার জীবনের সায়াহ্নে। এঁদের সকলের হাত ধরেই উৎসবের আনন্দে সামিল করল ডায়মন্ড হারবার পুলিশ।
উদ্যোক্তা ডায়মন্ড হারবার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে। শুধু মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দেখানো নয়, দিনভর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করেছিল পুলিশ। সকালের জলখাবার থেকে শুরু করে দুপুরের ভোজন-সবই নিখরচায়। উৎসবের ভিড়ের মধ্যে এই অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং শিশুদের জন্য এ যেন এক অন্য ‘দুর্গোৎসব’।
পুলিশের গাড়িতে চেপে তাদেরই হাত ধরে ঠাকুর দেখার অনুভূতিগুলো যেন এক মুহূর্তে খুশিতে ভরে উঠলো অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং শিশুদের মনে। অল্প সময়ের জন্য দেখা হলেও পুলিশ কর্তা থেকে পুলিশ কর্মীরা সকলে তাদেরকে পরিবারের একজন সদস্য ভেবে আপন করে নিলেন। ভাগ করে নিলেন পুজো দেখার আনন্দ। তবে পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন সকলেই।