নিজের জেঠিমার হাতেই খুন হতে হল সদ্যোজাতকে ? প্রাথমিক তদন্তে এমনি দাবি পুলিশের। সদ্যোজাতের খুনের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে সদ্যোজাতের জেঠিমা ও প্রতিবেশী এক ঠাকুমা ও তার ছেলেকে।
হাওড়ার শ্রীনাথ পোড়েল লেনের বাসিন্দা দম্পতি সামিমুদ্দিন ও সামা পরিবিনের একমাত্র সন্তান জন্মায় চলতি মাসের ১ তারিখ। ৩ তারিখ হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাতকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন মা।
advertisement
আরও পড়ুন- Burdwan: করিডরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সারমেয়, বর্ধমান মেডিক্যালে অতীষ্ঠ রোগীর আত্মীয়রা
তার পরের দিন অর্থাৎ ৪ তারিখ সকাল সাড়ে দশটার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সদ্যোজাত। সেই সদ্যোজাতের খোঁজে পরিবার খবর দেয় পুলিশে।
দুদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর এমনকী স্নিফার ডগ দিয়েও তল্লাশি করে খোঁজ মেলেনি সদ্যোজাতের। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে ঘরের ভিতরে জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির পচা গলা মৃতদেহ ।
সদ্যোজাতের মা সকালে বাথরুমে গিয়ে জল ব্যবহার করতেই সামনে আসে রহস্য। জল দিয়ে তখন গড়াচ্ছে লাল রক্তের মতো তরল। সঙ্গে পচা গন্ধ । সন্দেহ হয় মায়ের। খবর যায় পুলিশে ।
পুলিশ এসে বাথরুমের ভিতরে জলের ট্যাঙ্কের নিচে নামতেই সামনে আসে সদ্যোজাতের মৃতদেহ। কীভাবে সদ্যোজাত পৌঁছল জলের ট্যাঙ্কে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে হাওড়া থানার পুলিশ।
পরিবারকে দীর্ঘক্ষণ জেলার পর অবশেষে কিছুটা ভেঙে পড়েন সদ্যোজাতের জেঠিমা। তিনি একই ঘরে থাকতেন । এরপর দীর্ঘ জেরার পর কার্যত ভেঙে পড়ে জেঠিমা সালমা পারভীন।
একই ফ্ল্যাটে পার্শ্ববর্তী ঘরেই থাক তোর রিংকি খাতুন। সম্পর্কে সদ্যোজাতের পাড়াতুতো ঠাকুমা। সদ্যোজাতের জেঠিমা ও পাড়াতুতো ঠাকুমাকে আটক করে পুলি। পরবর্তীকালে রিংকি খাতুনের ছেলেকেও আটক করে চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
আরও পড়ুন- Son Killed Mother: মেমারিতে নক্কারজনক ঘটনা, চাহিদা মতো টাকা যোগান দিতে পারেনি মা, মেরেই ফেলল ছেলে
কী কারণে খুন! তাও মাত্র ৬ দিনের শিশুটিকে! পিছনে কী রয়েছে সম্পর্কের টানাপোড়েন! না রয়েছে ঈর্ষা! পুরো বিষয় খতিয়ে দেখছে হাওড়া সিটি পুলিশ আধিকারিকরা।
শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য | জীবিত অবস্থায় জলে ফেলে দিলে শিশুটি কান্নাকাটি করতে পারত। তাই হয়তো প্রথমে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয় তাকঁ। তার পর দেহ লোপাট করতেই ফেলে দেওয়া হয় জলের ট্যাঙ্কে।
যিনি এমন ঘটনা ঘটালেন তিনিও তিন কন্যা সন্তানের মা ।