#বর্ধমান: বর্ধমান মেডিক্যালে সারমেয়দের দাপট বেড়েই চলেছে। কুকুরদের বাড়াবাড়িতে অতিষ্ঠ রোগী ও তাদের আত্মীয় পরিজনরা। অসতর্ক হলেই কুকুরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে রোগীর খাবার। যে-কোনও সময় কুকুরের কামড়ে জখম হওয়ার আশঙ্কা করছেন সকলেই। কয়েক দিনের ব্যবধানে বর্ধমান মেডিক্যালের সুপার স্পেশ্যালিটি উইংয়ে একাধিক ব্যক্তি কুকুরের কামড়ে জখম হন। তার পরেও হুঁশ ফেরেনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী ও তাদের আত্মীয় পরিজনদের থিকথিকে ভিড় থাকেই। তার মধ্যেই অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে সারমেয়রা। জরুরি বিভাগে বিনা বাধায় ঢুকে পড়ছে কুকুর। নজর ঘোরালেই রোগীর খাবারে মুখ দিতে তৈরি তারা। আউটডোরে বিচরণ করছে সারমেয়র দল। দিন রাত এক করে হাসপাতালের রান্নাঘরের সামনে ভিড় করে থাকছে কুকুররা। সুযোগ বুঝে সেখানে ঢুকে পড়ার চেষ্টাও চলছে। একইভাবে কুকুরের ভিড় শিশু বিভাগ, প্রসূতি বিভাগ, রাধারানি ওয়ার্ড, নিউ বিল্ডিংয়ের সামনে। রোগীর আত্মীয়দের বক্তব্য, অবিলম্বে কুকুর নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হওয়া উচিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। নচেৎ, কুকুরের কামড়ে যখন তখন যে কেউ জখম হতে পারেন।
আরও পড়ুন: মেমারিতে নক্কারজনক ঘটনা, চাহিদা মতো টাকা যোগান দিতে পারেনি মা, মেরেই ফেলল ছেলে
আরও পড়ুন: তেজস-এর চাহিদা তুঙ্গে, ভারতের থেকে 'ভয়ঙ্কর অস্ত্র' কিনতে আগ্রহ দেখাল ৭টি দেশ
অনেকে বলছেন, কুকুরদের বাড়বাড়ন্তের জন্য রোগীর আত্মীয়রাও দায় এড়াতে পারেন না। তারা যত্রতত্র খাবার ফেলছে। তার টানে আসছে কুকুররা। বাড়তি খাবার ডাস্টবিন বা সঠিক পাত্রে ফেলা উচিৎ, সেই সচেতনতাটুকুও এখনও অনেকের মধ্যে গড়ে ওঠেনি। কুকুর এবং বিড়ালের আধিক্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, মানছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন হাসপাতালে কুকুর ও বিড়ালের সংখ্যা কত তা গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কুকুরদের বংশবৃদ্ধি রুখতে তাদের নির্বীজকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্ডে বিড়াল ঢোকা রুখতে জানালায় নেট লাগানো হয়েছে। রোগীর আত্মীয়রা বলছেন, অপরিচ্ছন্নতাও একটা বড় কারণ। পরিচ্ছন্ন বা নতুন বিল্ডিংগুলিতে কুকুর বিড়ালের আধিক্য তুলনামূলক কম।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan