জানা গিয়েছে, ভাতারের বলগোনার বাসিন্দা নমিতা মাঝি রক্তাল্পতার উপসর্গ নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যালের নিউ বিল্ডিং-এর তিনতলায় ভর্তি হন শনিবার সকালে। তাদের পরিবারের লোকজনকে দুটি কাগজ দিয়ে ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত আনতে বলা হয়। নমিতা মাঝির ছেলে সঞ্জিত মাঝি বলেন, ‘‘রক্ত আনার পর সেই রক্ত নমিতা মাঝির বদলে নমিতা বাগদি নামে অন্য একজনের শরীরে চালানো হয়। নমিতা বাগদিকে রক্ত দেওয়ার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখনই টনক নড়ে সিস্টারদের। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পরিবর্তন করা হয়।’’
advertisement
নমিতা মাঝি নামে ৫৩ বছর বয়স্কা রোগীনির বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের তুলসীডাঙ্গা গ্রামে। তার রক্তে হিমোগ্লোবিন কম ছিল। একই সঙ্গে ওই ওয়ার্ডেই নমিতা বাগদী নামে আরও এক রোগিনী সর্পদংশনের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নমিতা মাঝির জন্য রক্ত লাগবে জানতে পেরে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত আনেন তার ছেলে সঞ্জিত মাঝি। পরে তিনি তার বৌদিকে ফোন করে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, তার মাকে রক্ত দেওয়া হয়নি।
পরিবর্তে অন্যজনকে সেই রক্ত দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে নাকি ভুল বুঝতে পেরে সেই রক্ত খুলেও নেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। এদিকে ভুল রক্ত চলায় নমিতা বাগদীর শরীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তাকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস হাসপাতাল সুপারের।






