কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, ১৭৪০ সালে এই রথ উৎসব শুরু করেন মধূসুদানন্দ মতান্তরে পিতাম্বরানন্দ। গুপ্তিপাড়ার রথ বৃন্দাবন জিউ রথ। ২৮৫ বছরে পড়ল গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। বছরের অন্যসময়ে ঐতিহ্যপূর্ণ বৃন্দাবনচন্দ্র মঠের পাশে বছরভর এই রথ টিনের খাঁচায় ভরা থাকে।
advertisement
বর্ষায় সাপ-খোপ ঢুকে পড়ছে ঘরে? বাড়ির চারপাশে লাগান এই ৫ গাছ, প্রাকৃতিক ভাবে মিলবে ‘রক্ষা কবচ’!
এই রথ চার তলা, উচ্চতা প্রায় ৩৬ ফুট, দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত ৩৪ ফুট করে। আগে বারোটা চূড়া ছিল বর্তমানে নয়টি চূড়া। বৃন্দাবন মন্দির থেকে জগন্নাথ,বলরাম আর সুভদ্রা রথে চড়ে যান প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গোসাঁইগঞ্জ-বড়বাজারে মাসির বাড়ি। গুপ্তিপাড়া রথযাত্রার একটি একান্ত নিজস্ব বিশেষত্ব ভান্ডার লুট।উল্টোরথের আগের দিন হয় ভান্ডার লুট।
গুপ্তিপাড়া রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে এবছর বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।হুগলি গ্রামীণ পুলিশের বিভিন্ন থানা থেকে ওসিরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ডিএসপি অ্যাডিশনাল এসপি পদ মর্যাদার অফিসাররা মোতায়েন রয়েছেন।ড্রোন ক্যামেরায় চলছে নজরদারি। গুপ্তিপাড়ায় রথের প্রথম টান হয় দুপুর বেলা বারোটায়। এই রথযাত্রা দেখতে বর্ধমান নদীয়া উত্তর ২৪ পরগণা থেকে বহু মানুষ আসেন। ভক্তের ভীরে গমগম করে রথের সড়ক। রথ উপলক্ষে বসে রথের মেলা। উৎসব মুখরিত হয়ে ওঠে গুপ্তিপাড়ার মানুষরা।
রাহী হালদার