গেরুয়া শিবির নেতৃত্বের কথায়, "বগটুই গণহত্যায় যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের খুন করা হয়েছিল। এক বছর হতে চলেছে তাঁরা কোনও বিচার পাননি। এই অবস্থায় তাঁদের স্মৃতিতে শহিদ বেদি করা যেতেই পারে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।" তবে এরপরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তবে কি সংখ্যালঘুদের মন পেতে এবার কি বগটুইকে অস্ত্র করতে চাইছে পদ্ম শিবির?
advertisement
আরও পড়ুন- মালদহে এসটিএফ-এর জালে অস্ত্র কারবারি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্রসস্ত্র !
২০২২-এর ২১ মার্চ। বীরভূমের রামপুরহাটে খুন হন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। পাল্টা হামলায় বগটুইয়ে একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মৃত্যু হয় একই পরিবারের দশ জনের। প্রত্যেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সেই বগটুইয়েই এবার নিহতদের স্মরণে শহিদ বেদি বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় বঙ্গ বিজেপি ও শাসক দল। নিহতদের বাড়ির কাছেই করা হচ্ছে এই শহিদ বেদি। যদিও এই উদ্যোগের নেপথ্যে রাজনীতির অঙ্ক দেখছেন অনেকেই। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ‘‘পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারাতে তাদের সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে চাইছে বিজেপি। তাই এবার তাদের হাতিয়ার বগটুই।’’
আরও পড়ুন- চালককে সওয়ারির আসনে বসিয়ে রিকশা টানলেন প্রবীণ মন্ত্রী, গেলেন ‘দুয়ারে ডাক্তার’ ক্যাম্পে
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতহীন বীরভূম সংগঠনকে শক্তিশালী করতে অনেক দিন ধরেই সক্রিয় হয়েছে বিজেপি। মুসলিম ভোট পেতে মরিয়া বিজেপি। তাই জন্যই কি এবার বগটুইকে অস্ত্র করতে চাইছে তারা? আর সেই জন্যই কি নিহতদের জন্য শহিদ বেদি বানিয়েছে দুই ফুল শিবির? এই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল ও বিজেপির পাশাপাশি শহিদ বেদি না বানালেও আজ বগটুই কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে মৌন মিছিল করবে সিপিআইএম। সব মিলিয়ে বগটুই কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।