সেবক দেবশর্মা, মালদহ: মালদহে পুলিশের স্পেশাল টাক্স ফোর্সের জালে বেআইনি অস্ত্র কারবারের চাঁই। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি পাইপগান। মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার ১৭ মাইল এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। ধৃত অস্ত্র কারবারির নাম হায়াত আলি। তার বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার বীরনগরের চিনাবাজার এলাকায়।
মঙ্গলবার ধৃতকে তোলা হবে মালদহ জেলা আদালতে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। ধৃতকে জেরা করে মালদহে বেআইনি অস্ত্রের কারবার সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়ার আশা করছেন তদন্তকারীরা।
এনিয়ে দিন কয়েকের মধ্যেই মালদহে অস্ত্র উদ্ধারে জোড়া সাফল্য পেল এসটিএফ। গত সপ্তাহেই মালদহের রতুয়া থানা লাগোয়া আহমেদাবাদ থানা এলাকায় অস্ত্র কারখাানার হদিশ পায় বেঙ্গল এসটিএফ। বিহার পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই অস্ত্র কারখানা পাকড়াও করে এসটিএফ।
আরও পড়ুন- চালককে সওয়ারির আসনে বসিয়ে রিকশা টানলেন প্রবীণ মন্ত্রী, গেলেন ‘দুয়ারে ডাক্তার’ ক্যাম্পে
এদিন এসটিএফ-এর কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে বৈষ্ণবনগরে বেআইনি অস্ত্রের হাতবদল হবে। সেইমতো সকাল থেকেই বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশকে জানিয়ে ফাঁদ পাতে এসটিএফ। এরপর সোর্সের খবর মতো বছর ৩৫ এর যুবক হায়াত আলিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে আটক করে এসটিএফ। পরে তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে় উদ্ধার হয় চারটি দেশি পাইপগান।
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ধৃত হায়াত আলি বেশ কিছুদিন ধরেই বেআইনি অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। নির্দিষ্ট বরাতের ভিত্তিতেই এদিন অস্ত্রের হাত বদলের জন্য ১৭ মাইল এলাকায় আসে ওই যুবক। কিন্তু ক্রেতার অপেক্ষা করার সময় এসটিএফ-এর হাতে ধরা পড়ে যায় সে।
আরও পড়ুন- দারিদ্র্য ছিল নিত্যসঙ্গী; হোটেলেও কাজ করতে হয়েছে! এখন এই অভিনেত্রীর আয় শুনলে চমকে উঠবেন!
তবে কে বা কারা, কী উদ্দেশে ওই অস্ত্রের বরাত দিয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্যই ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। এর সঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোলমাল পাকানোর কোনওরকম উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে একসঙ্গে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং চাই ধরা পড়ার ঘটনাকে সাফল্য বলেই মনে করছে এসটিএফ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda, Malda News