এই কাঠির মাদুর তৈরি হত গ্রাম বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। মাদুর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বহু মানুষ। মাদুর কাঠি চাষ, কাঠি সংগ্রহ করে তাকে মাদুর তৈরির উপযুক্ত করা, শেষ পর্যায়ে কারিগরদের মাদুর তৈরির মত বিভিন্ন ধাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমানে গ্রামবাংলার খুব অল্প সংখ্যক ঘরে এখন কাঠির মাদুর ব্যবহারের রেওয়াজ দেখা যায়। হাতে বোনা কাঠির মাদুরের জায়গা এখন দখল করে নিয়েছেন প্লাস্টিকের মাদুর ও কার্পেট।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার এখান থেকে কর্পূরের মত উবে যাচ্ছে জল! পুরোটা জানলে ভয় পাবেন
কাঠি মাদুর গরমে আরামদায়ক হলেও এর দামে দুটো প্লাস্টিকের মাদুর কেনা হয়ে যাবে। অথবা আরেকটু বেশি দাম দিয়ে রংচঙে কার্পেট জাতীয় জিনিস বাড়ি আনতে পারবেন আপনি। এই সব কিছু মিলিয়ে কাঠি মাদুরের চাহিদা কমেছে। এই মাদুর বুনতে বা তৈরি করতে দু’জন শ্রমিকের দরকার হয় এবং ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগে। সবমিলিয়ে যা পরিশ্রম হয় সেই অনুপাতে তেমন আয় হয় না কারিগরদের। ফলে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে অন্য কাজ শুরু করেছেন। আর তার ধাক্কাতেই এবার হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের মাদুর শিল্পের জন্য বিখ্যাত ভবানীপুর গ্রাম থেকেও হারিয়ে যেতে বসেছে এই কাঠি মাদুর।
আরও পড়ুন: এখানেই পাতালে প্রবেশ করেছিলেন মা গঙ্গা! চক্রতীর্থের নন্দার মেলায় স্নানের হিড়িক
এক সময় ভবানীপুর গ্রামে প্রায় ৪০-৫০ টি পরিবার মাদুর বোনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু লাভের মুখ না দেখতে পেয়ে মাদুর শিল্প থেকে সরে এসেছে বহু পরিবার। স্থানীয় মাদুর শিল্পীরা জানান, হাতে বোনা মাদুর পরিবেশ বান্ধব। এই মাদুর অনেকদিন ব্যবহার করা যায়। সেই দিক থেকে প্লাস্টিকের মাদুর সেইভাবে টেকসই হয় না। তবুও মানুষ রংচঙে প্লাস্টিক মাদুর বা কার্পেট জাতীয় জিনিসের দিকেই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে মাদুর শিল্প ধ্বংস হচ্ছে।
রাকেশ মাইতি