TRENDING:

সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনায় গ্রাম বাংলার মায়েরা করেন এক বিশেষ ব্রত! জিতা ষষ্ঠীর কথা অনেকেরই অজানা, কী এই পুজো? কীভাবে করে জানুন

Last Updated:

Jita Ashtami 2025: পুরুলিয়ার কাশীপুরের পালগা গ্রামের কালিন্দী পরিবারের কাছে উৎসব মানেই জিতা ষষ্ঠী। এক পরম অনুভব, এক আত্মিক প্রাপ্তি। কারণ এই সময়েই তাঁদের তৈরি বাঁশের ডালার বিকিকিনি পৌঁছায় শিখরে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পুরুলিয়া, শান্তনু দাস: দুর্গাপুজোর ঢাকের কাঠি পড়তে না পড়তেই যখন গোটা বাংলা সাজে উৎসবের আনন্দে, তখন পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত এই গ্রামে শুরু হয় এক অন্য উৎসবের প্রস্তুতি। সেই উৎসবে বাজে না ঢাক, জ্বলে না আলো। সেখানে শুধুই বাজে বাঁশ কাটার ছন্দ, বাতাসে ভেসে আসে কাঁচা রঙের গন্ধ, আর তুলি বোলানো হাতে তৈরি হয় স্বপ্নের কাঠামো। পুরুলিয়ার কাশীপুরের পালগা গ্রামের কালিন্দী পরিবারের কাছে উৎসব মানেই জিতা ষষ্ঠী। এক পরম অনুভব, এক আত্মিক প্রাপ্তি। কারণ এই সময়েই তাঁদের তৈরি বাঁশের ডালার বিকিকিনি পৌঁছায় শিখরে। শুধু গ্রামে নয়, জেলার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের হাতে গড়া শিল্পের কদর।
advertisement

প্রাচীন প্রথা মেনে জিতা ষষ্ঠীর সকালে মায়েরা সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনায় পুজো দেন। আর সেই পুজোর অপরিহার্য অনুষঙ্গ এই ডালা। প্রতিটি ডালা যেন এক একটি ভালবাসার প্রতীক, বাঁশের বুনোটে মায়ের প্রার্থনা, রঙে রঙে সন্তানের ভবিষ্যৎ। কালিন্দী পরিবারে উৎসবের আগমনী মানেই নিঃশব্দে শুরু হওয়া এই জিতা ষষ্ঠী।

আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোয় থিমের চাকচিক্যে গ্রাম বাংলার ছোঁয়া! পুজোর চার দিন মায়ের জন্য বিশেষ ভোগ

advertisement

পরিবারের পুরুষেরা ঘুরে ঘুরে ভাল মানের বাঁশ সংগ্রহ করে সেই বাঁশ কেটে নেন মাপ মতো। তারপর মহিলারা সেই বাসের টুকরোগুলো ঘষে মেজে করে তোলেন মসৃণ, তৈরি হয় কাঠামো। তারপর শুরু হয় রঙ-তুলির খেলা। আঁকা হয় আলপনা, পাড়, ফাঁস। কেউ সাজায় গৌরীপট্ট, কেউ এঁকে দেন ধানের শিষ। তিলে তিলে গড়ে ওঠে রঙিন বাঁশের ডালা।

advertisement

View More

পুরুলিয়ার কাশীপুরের পালগা গ্রামে জিতা ষষ্ঠীর প্রস্তুতি তুঙ্গে

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

এই ডালাগুলোর চাহিদা শুধুই পালগা বা কাশীপুর নয়, ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের হাটে। জেলার সীমানা পেরিয়ে যায় দূর গ্রামেও। আর এর বিনিময়ে শিল্পীরা পান ভাল পারিশ্রমিক, যা তাদের পরিশ্রমকে সার্থক করে তোলে। এই কয়েকটা দিনই কালিন্দী পরিবারের কাছে সবচেয়ে ব্যস্ততার দিন। শুধু টাকা রোজগার নয়, আত্মসম্মানের, আত্মবিশ্বাসের আর শিল্পকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার দিন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

বাঁশের ডালায় গাঁথা তাদের স্বপ্ন। ষষ্ঠী জয়ের আশায় প্রতিটি দিন তাঁরা বোনেন নতুন প্রত্যাশায়। তাঁদের কাছে উৎসব শুধু সাজসজ্জা নয়, উৎসবই তাঁদের জীবিকার রং, বেঁচে থাকার অবলম্বন।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনায় গ্রাম বাংলার মায়েরা করেন এক বিশেষ ব্রত! জিতা ষষ্ঠীর কথা অনেকেরই অজানা, কী এই পুজো? কীভাবে করে জানুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল