প্রাচীন প্রথা মেনে জিতা ষষ্ঠীর সকালে মায়েরা সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনায় পুজো দেন। আর সেই পুজোর অপরিহার্য অনুষঙ্গ এই ডালা। প্রতিটি ডালা যেন এক একটি ভালবাসার প্রতীক, বাঁশের বুনোটে মায়ের প্রার্থনা, রঙে রঙে সন্তানের ভবিষ্যৎ। কালিন্দী পরিবারে উৎসবের আগমনী মানেই নিঃশব্দে শুরু হওয়া এই জিতা ষষ্ঠী।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোয় থিমের চাকচিক্যে গ্রাম বাংলার ছোঁয়া! পুজোর চার দিন মায়ের জন্য বিশেষ ভোগ
advertisement
পরিবারের পুরুষেরা ঘুরে ঘুরে ভাল মানের বাঁশ সংগ্রহ করে সেই বাঁশ কেটে নেন মাপ মতো। তারপর মহিলারা সেই বাসের টুকরোগুলো ঘষে মেজে করে তোলেন মসৃণ, তৈরি হয় কাঠামো। তারপর শুরু হয় রঙ-তুলির খেলা। আঁকা হয় আলপনা, পাড়, ফাঁস। কেউ সাজায় গৌরীপট্ট, কেউ এঁকে দেন ধানের শিষ। তিলে তিলে গড়ে ওঠে রঙিন বাঁশের ডালা।
পুরুলিয়ার কাশীপুরের পালগা গ্রামে জিতা ষষ্ঠীর প্রস্তুতি তুঙ্গে
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ডালাগুলোর চাহিদা শুধুই পালগা বা কাশীপুর নয়, ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের হাটে। জেলার সীমানা পেরিয়ে যায় দূর গ্রামেও। আর এর বিনিময়ে শিল্পীরা পান ভাল পারিশ্রমিক, যা তাদের পরিশ্রমকে সার্থক করে তোলে। এই কয়েকটা দিনই কালিন্দী পরিবারের কাছে সবচেয়ে ব্যস্ততার দিন। শুধু টাকা রোজগার নয়, আত্মসম্মানের, আত্মবিশ্বাসের আর শিল্পকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার দিন।
বাঁশের ডালায় গাঁথা তাদের স্বপ্ন। ষষ্ঠী জয়ের আশায় প্রতিটি দিন তাঁরা বোনেন নতুন প্রত্যাশায়। তাঁদের কাছে উৎসব শুধু সাজসজ্জা নয়, উৎসবই তাঁদের জীবিকার রং, বেঁচে থাকার অবলম্বন।