পরিবেশকে বাঁচাতে যারা প্রতিদিন কঠিন বর্জ্য পদার্থ মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর তাদের হাতের তৈরি পিঠে পুলি সাধ নিচ্ছেন ভোজন রসিক বাঙালি। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পৌরসভার ২৩টা ওয়ার্ডের নির্মল সাথীর ৫৩ জন নির্মল বন্ধুর সঙ্গে ৪০০ জন নির্মল সাথীর যারা প্রতিনিয়ত মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে হুইসেল দিয়ে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ করে তারা পৌঁছে দিচ্ছে বসিরহাট ময়লা খোলায় সেখানে বিভিন্ন মেশিনে তৈরি হচ্ছে জৈব সার।
advertisement
আরও পড়ুন- বিশ্বকর্মা পুজো নয়! মকর সংক্রান্তিতেও আকাশ জুড়ে ঘুড়ির কাটাকুটি…কোথায় জানেন?
একদিকে যেমন উপার্জন হচ্ছে পৌরসভার, অন্যদিকে দূষণ থেকে মুক্তি পাচ্ছে পৌরবাসী। সেই নির্মল সাথীর অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ বসিরহাট পৌরসভা পরিবেশবান্ধবে পৌঁছে গেছে। তাদের এবার নতুন সংকল্প। জিরো ওয়েস্ট ইভেন্ট।
তাদেরই উদ্যোগে এই প্রথম বসিরহাট দুদিন ধরে চলবে পিঠে পুলি উৎসব। এই উৎসবে ১৬টা স্টল রয়েছে যেখানে ১১ রকমের হারিয়ে যাওয়া বাঙালির প্রিয় খাবার পিঠে পুলি, ভাপা পিঠে, পুলির পিঠে, দুধপুলি, কাস্তে বড়া, পাটিসাপটা-সহ একাধিক মুখরোচক বাঙালিয়ানা খাবার।
বাঙালির স্বাধ্যের মধ্যে খেতে পারবে এই উৎসব এলে। নিজেরাই একেবারে পরিবেশ বান্ধবের মধ্যে ঢেঁকিতে চাল ভেঙে কাঠের আগুনে তৈরি করছে পিঠেপুলি এখানে পিঠে পাঁচ টাকা থেকে দশ টাকা যা কলাপাতায় ও মাটির পাত্রে সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধবের ভাবে এই খাবার পরিবেশন করছে তারা।
এই উৎসবে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে ভিড় জমিয়েছে শহর ও গ্রাম থেকে বহু ভোজন রসিক মানুষেরা। এখানে নলেন গুড়ের পিটের স্বাদ নিয়ে রীতিমতো অভিভূত আপ্লুত সাধারণ মানুষ বসিরহাট টাউন হল প্রাঙ্গণে তার শুভ উদ্বোধন করলেন বসিরহাট মহাকুমা শাসক আশীষ কুমার।
আরও পড়ুন- ২৫১টি আখড়া নিয়ে শুরু জয়দেব কেন্দুলি মেলা! বাউল-ফকিরের ভিড়ে জমজমাট
নির্মল সাথীর বন্ধুরা জানান, আমাদের মূলত উদ্দেশ্য জিরো ওয়েস্ট ইভেন্ট প্লাস্টিক ফ্রি জোন যেখানে একেবারে প্লাস্টিক ছাড়াই পিঠে তারা নিজেরা স্বাদ নিতে পারবে এবং বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে ব্যবহার করা হয়েছে মাটির হাড়ি কলার পাতা সহ একাধিক জিনিসপত্র যেগুলো পরিবেশবান্ধব। পৌরসভার ব্যবস্থাপনা কঠিন বর্জ্য পৃথকরণ ব্যবস্থা প্রকল্পের সকল কর্মী দের নিয়ে উৎসব শুরু হল বসিরহাট টাউন হলে।
জুলফিকার মোল্লা





