ছোটবেলা থেকেই নাটকের হাত ধরে তাঁর সাংস্কৃতিক জীবনের শুরু, আজও তিনি ও তাঁর স্ত্রী পায়েল চক্রবর্তী নাটক ও থিয়েটারের সাধনায় মগ্ন। এবার নিজেদের ভিটেতেই গড়ে তুললেন লাইট অ্যান্ড সাউন্ড-সজ্জিত একটি থিয়েটার হল। যার একটাই উদ্দেশ, বর্তমান প্রজন্মকে সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে সরিয়ে এনে বাস্তব জীবনের সঙ্গে যুক্ত করা এবং তাদের নাট্যমুখী করে তোলা।
advertisement
সঞ্জয়বাবুর মতে, অনেক প্রতিভাবান ছাত্র-ছাত্রী অর্থের অভাবে কখনই বড় মঞ্চে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারে না। বাইরে কোনও হল ভাড়া করতে গেলে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়, যা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কর্মশালার মাধ্যমে এই থিয়েটারে তারা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ পাবে এবং নাটককে জীবনের সঙ্গে যুক্ত করার সুযোগ পাবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাঁশ কাঠ, দরমার বেড়া আর টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি হলেও এই থিয়েটারে রয়েছে নিজস্ব লাইট ও সাউন্ড সিস্টেম। নাটক ও থিয়েটার কেবল বিনোদন নয়, বরং সুস্থ, স্বাভাবিক ও সৃজনশীল সমাজ গঠনের অন্যতম হাতিয়ার – এই বার্তাই সঞ্জয়বাবু নিজের সাধনা আর আত্মত্যাগের মাধ্যমে সমাজের সামনে তুলে ধরলেন। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যদি আরও অনেকে এগিয়ে আসেন, তবে আগামী দিনে নাট্যকর্মীদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে এক আলোকিত সমাজ।