স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ডে বেসরকারি অলংকার বিপনী সংস্থার নাম ও বিজ্ঞাপন যুক্ত থাকায় প্রশ্ন উঠেছে- সরকার পোষিত একটি বিদ্যালয়ে কীভাবে বেসরকারি ব্যক্তি মালিকানাধীন কোনও বিপণী সংস্থার এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই সরকারি স্কুলে অর্থাভাব ও পরিকাঠামোগত সমস্যার প্রসঙ্গ তুলছেন, পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
advertisement
অশোকনগর গোলবাজার সংলগ্ন এই বিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরেই মহিলাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত। শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এই স্কুলের সুনাম রয়েছে। এখানকার বহু প্রাক্তন ছাত্রী বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ ও সুউচ্চ পদে কর্মরত। সেই প্রেক্ষাপটে বিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে বেসরকারি একটি সোনার দোকানের নাম যুক্ত থাকাকে ‘দৃষ্টিকটূ’ বলে দাবি করছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষিকা সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, সরকারি স্কুলে এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা কোনওভাবেই সঠিক নয়। স্কুলের এক প্রাক্তন ছাত্রী জানান, ‘নিজেদের স্কুলে এমন কাণ্ড দেখে আমরা হতবাক। স্কুলের নামের সঙ্গেই একটি সোনার দোকানের নাম জ্বলজ্বল করছে, যা খুবই দৃষ্টিকটূ। বন্ধুদের মধ্যেও এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিকে অশোকনগরের নাগরিকদের একাংশ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে সচেতন হওয়ার দাবি জানিয়েছেন। প্রয়োজনে প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে এ ক্ষেত্রে। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেদিকেই নজর অশোকনগরবাসী-সহ শিক্ষামহলের। যদিও বিষয়টি নিয়ে স্কুলের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।






