সংঘশ্রী ক্লাব এ বছর মণ্ডপ গড়েছে বৃদ্ধাশ্রমের আদলে। আর তাদের থিমের নাম— “ঋণ”। উদ্যোক্তাদের মূল বক্তব্য, বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের এক অমোচনীয় ঋণ থেকে যায়। মা-বাবা সন্তানের জন্মের পর থেকে তার লালন-পালন, শিক্ষা, স্নেহ ও যত্নে কখনও কোনও খামতি রাখেন না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বড় হয়ে ওঠা সন্তানরা নিজ জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ভুলে যায় সেই ঋণের কথা। জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে মা-বাবাদের যখন সবচেয়ে বেশি সঙ্গ, ভালবাসা ও সহানুভূতির প্রয়োজন, তখনই অনেক সময় তারা অবহেলিত হন, ঠাঁই হয় বৃদ্ধাশ্রমে।
advertisement
আরও পড়ুন: নড়তে চড়তে এবার সব খবর যাবে পুলিশের কাছে! নজরে ৩৫ লক্ষ মানুষ, পুজোর আগে কী এমন আয়োজন বসিরহাটে
ক্লাবের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন—এই বার্তাই সমাজকে পৌঁছে দিতে চান তারা। বাবা-মা কখনোই বোঝা নন, তাঁদের সম্মান, যত্ন ও স্নেহ দেওয়া প্রত্যেক সন্তানের কর্তব্য। ছোটবেলায় যেমন মা-বাবা প্রতিটি মুহূর্তে পাশে থেকেছেন, তেমনই বার্ধক্যে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবিকতা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ভাবনাকেই কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। দর্শনার্থীরা শুধু শৈল্পিক রূপই নয়, পাবেন এক গভীর মানবিক বার্তা— “বৃদ্ধাশ্রম নয়, বার্ধক্যে বাবা-মাকে দিন স্নেহ-ভালোবাসার আশ্রয়।” এইভাবেই বসিরহাটের সংঘশ্রী ক্লাবের এবারের দুর্গাপূজা একদিকে যেমন নজরকাড়া শিল্পকলা ও থিমে সমৃদ্ধ, অন্যদিকে সমাজের প্রতি এক আবেগঘন দায়বদ্ধতার বার্তা বহন করছে।