টানা ভারী বৃষ্টির ফলে উত্তর ২৪ পরগনার বহু এলাকায় মেছোভেড়ির জলস্ফীতি ঘটে তা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও জল উপচে গিয়ে আশপাশের নদী, নর্দমা বা চাষের জমিতে মিশে যাচ্ছে। ফলে পুকুর কিংবা ভেড়ির মাছ জলস্রোতের টানে বেরিয়ে পড়ছে মূল জলপ্রবাহে। এতে মাছ চাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন স্থানীয় মানুষজন।
advertisement
আরও পড়ুন: আচমকা বৃদ্ধার মাথায় আস্ত গাছের ডাল…! লুটিয়ে পড়লেন চোখের সামনে, তারপর যা ঘটল…
বিশেষ করে নদীঘেঁষা অঞ্চলে ভাটার সময় জল নামলেও, নদী থেকে দূরে অবস্থিত মেছোভেড়ির জল সহজে নামছে না। জমে থাকা অতিরিক্ত জলই হয়ে উঠছে বড় বিপত্তির কারণ। মাছের খাদ্যনালীর ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনই জল বেরোনোর উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় মাছ বেরিয়ে যাচ্ছে ভেড়ির বাইরে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অনেক চাষির বছরের পর বছর ধরে পরিশ্রমে গড়ে তোলা ভেড়ির মাছ মুহূর্তেই হারিয়ে যাচ্ছে বন্যার মত পরিস্থিতিতে। ফলে আর্থিকভাবে তারা পড়েছেন চরম সমস্যায়। এখন প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং পরিকল্পিত জলনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হয়। মাছচাষিদেরও সচেতন হতে হবে মেছোভেড়ির বাঁধ ও জলপথ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের দিকেও। এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মরশুমে প্রতি বছরই এমন দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হবে দক্ষিণবঙ্গের এই মাছচাষ নির্ভর বিস্তীর্ণ এলাকাকে।
জুলফিকার মোল্যা