প্রায় ৮০ বছরের পুরনো এই ঢাকিপাড়ায় একসময় মাত্র ১০টি পরিবার ঢাক বাজানোর সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বহু পরিবার জীবিকা হিসেবে এই শিল্পকে বেছে নিয়েছিল। একসময় এখানকার ঢাকিদের ডাক পড়ত জেলার বাইরে এমনকি দিল্লি, লখনউ, বেনারস, পাঞ্জাব, হরিয়ানা পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমানে আর সেভাবে বায়না মেলে না। দুর্গাপুজো ছাড়া সারা বছর হাতে গোনা অর্ডার আসে স্থানীয় এলাকার মধ্যেই। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে অনেক ঢাকি আজ সংসার চালাতে বেছে নিয়েছেন টোটো বা অটো চালানো। কেউ কেউ অন্য অস্থায়ী কাজ করে কোনওরকমে দিন গুজরান করছেন।
advertisement
সরকারি সাহায্য হিসেবে মাসে সামান্য এক হাজার টাকা ভাতা মিললেও তাতে সংসার চলে না। তবুও প্রায় ৭০ বছরের ঐতিহ্যকে আগলে রেখেছেন কিছু পরিবার। বারো মাসে তেরো পার্বণের বাংলা বলে এখনও কোনও না কোনও অনুষ্ঠানে অল্পবিস্তর ডাক পড়ে উত্তর ২৪ পরগনার ডাকি পাড়ার বাজনাদারদের। আর সেই আশাতেই দুর্গাপুজোর আগে নিজের ঢাক ও বাদ্যযন্ত্রকে বোল তোলার জন্য প্রস্তুত করছেন ঢাকিপাড়ার শিল্পীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক ঢাকি আক্ষেপের সুরে জানালেন, একসময় ঢাকের বোলে মণ্ডপ গমগম করত, আজ সব জায়গায় সাউন্ড বক্স। ঢাক এখন শুধু শিল্প, সংসারের ভরসা আর নেই। তবে এভাবেই যেন টিকে থাকার লড়াই চালাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাংলার এই বাদ্যকাররা।