TRENDING:

২৫০ বিঘা বেহাত হওয়া সরকারি জমিতে ইটভাটা, মাছের ভেড়ি! উদ্ধারে 'অ্যাকশন' শুরু, জানুন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন

Last Updated:

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বাম আমল থেকে বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে নামল প্রশাসন। জমির পরিমাণ ৮৩ একর অর্থাৎ প্রায় ২৫০ বিঘা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বারাসাত, উত্তর ২৪ পরগনা, জিয়াউল আলম: উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বাম আমল থেকে বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে নামল প্রশাসন। জমির পরিমাণ ৮৩ একর অর্থাৎ প্রায় ২৫০ বিঘা। বাম আমল থেকেই হাসনাবাদে বিপুল সরকারি সম্পত্তি বেহাত হয়ে গিয়েছে। সেই জায়গায় তৈরি হয়েছে ইটভাটা ও মাছের ভেড়ি। অবশেষে সেই সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করল জেলা পরিষদ। শুক্রবার জেলা পরিষদের একটি টিম এলাকা পরিদর্শন করে এই সকল বেহাত হয়ে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য।
সরকারি জমি দখল করে ইটভাটা
সরকারি জমি দখল করে ইটভাটা
advertisement

ভারতের একেবারে শেষ সীমানা হাসনাবাদ। ইছামতি নদীর তীরে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। এই ব্লকের অন্তর্গত রাজনগর মৌজা এলাকায় আগে ছিল মাছরাঙা দ্বীপ। সেখানে ছিল পর্যটন ক্ষেত্র। কিন্তু কালের নিয়মে সেসব আজ অতীত। নদীগর্ভে সবকিছুই তলিয়ে গিয়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পড়ে রয়েছে কেবল উন্মুক্ত জমি। আর এই জমি জেলা পরিষদের সম্পত্তি।

advertisement

আরও পড়ুন: বাজারে ব্যাপক চাহিদা, ছোট ছোট কাঠের টুকরো দিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন মূর্তি থেকে ছবি

সরকারি নথি অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনার রাজনগর মৌজায় দাগ নম্বর- ৬৬, জেএল নম্বর ০৫৩, ৯ নম্বর খতিয়ানে রয়েছে ৮২.১১ অর্থাৎ ২৪৮ বিঘার বেশি জমি। বাম আমলে গ্রাম কমিটি করে এই জায়গা লিজ দেওয়া হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা পরিষদের জায়গায় সেই সময় তৈরি হয় চারটি ইটভাটা। পাশাপাশি রয়েছে দুটি বড় মাছের ভেড়ি। বছরে সেই জায়গার লিজের টাকা গ্রাম কমিটির সদস্যরা নিজেদের মতো করে খরচ করেন। ফলে সরকারি জায়গা থেকে জেলা পরিষদের কোনও আয় হয় না। ফলে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের। তারপরেই এদিন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত দখলদারি উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করল প্রশাসন।

advertisement

আরও পড়ুন: কেঁচো মারতে আনা বিষ জল ভেবে খেয়ে ফেলল শিশু! তারপরই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা, শোকের ছায়া এলাকায়

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এটিএম আব্দুল্লাহ বলেন, “১০০ শতাংশ নিশ্চিত আমরা এই জায়গা উদ্ধার করব। সরকারি নিয়ম মেনে লিজ দেওয়া হবে। আর সেই টাকাতে এলাকারই উন্নয়ন হবে।” অন্যদিকে অধ্যক্ষ আরশাদ উদ জামান বলেন, “এটা বাম আমলের ক্ষত। বৃহস্পতিবার সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করে এই জমির পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা পথে নেমেছি। সরকারি জমি কোনওভাবেই আমরা বেহাত হতে দেব না। কয়েক দিনের মধ্যে অ্যাকশন শুরু হবে।”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

জেলা পরিষদের এই তৎপরতায় খুশি এলাকার মানুষ, তারা জানান, “প্রায় ২৫০ বিঘের মতো জায়গা জেলা পরিষদ নিজেদের মতো করে ব্যবহার করলে আমরা আশাবাদী এলাকার আরও উন্নয়ন হবে।”

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
২৫০ বিঘা বেহাত হওয়া সরকারি জমিতে ইটভাটা, মাছের ভেড়ি! উদ্ধারে 'অ্যাকশন' শুরু, জানুন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল