কিছুদিন আগে সোদপুরের সুখচরে মোবাইল বেশি দেখার জন্য মা বকাবকি করতেই অভিমানে আত্মহত্যা করেন এক স্কুল ছাত্রী। অপর একটি ঘটনায়, মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য বারংবার অনুরোধ করেছিল এক স্কুল ছাত্র। পরিবারের লোকজন তাতে রাজি না হওয়ায় সেও অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। দুটি ঘটনাই ঘটে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়।
আরও পড়ুন: সৎ মায়ের জন্য তোয়ালে পরে থানায় কিশোর! বাড়িতে যা ঘটেছে, শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন
advertisement
তবে, এগুলি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই শিল্পাঞ্চলে এই ধরনের ঘটনা আখছাড় ঘটছে এমনটাই উঠে আসছে পুলিশ সূত্রে। এবার তাই নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মনের কথা জানতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ‘মনের কথা পুলিশ দিদির সঙ্গে’ নাম দিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা হল এদিন।
নিজের পছন্দমতো কোনও কিছু না পেলেই অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে বহু তরুণ-তরুণী এমনকি শিশুরাও। কমিশনারেট এলাকায় একাধিক থানায় টিনেজারদের আত্মহত্যার ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হচ্ছে। ফলে, নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মনের কথা বুঝতেই পুলিশের এই উদ্যোগ। প্রকল্পের সুবিধা কী করে পাবে জেনারেশন ওয়াই! ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলক রাজোরিয়া জানান, এরজন্য নির্দিষ্ট একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হচ্ছে। সেই নম্বর পুলিশ প্রশাসনের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে। সেখানে ফোন নম্বরে ফোন করে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়ে শিশুরাও।
আরও পড়ুন: ‘বাঁচাও, বাঁচাও, আমাদের বাঁচাও’, বিদেশ থেকে কাতর আর্তি বড়ঞাঁর ৭ যুবকের! আঁতকে ওঠা ঘটনা
একজন মহিলা পুলিশ অফিসারকে এই কাজের জন্য নিয়োগ করা হবে।পুলিশ দিদি প্রয়োজনমতো তার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রয়োজনে কাউন্সেলিংও করা হবে। গুরুত্ব বুঝে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হলে, তাও নেওয়া হবে। মূলত, কী বিষয় নিয়ে তারা অভিমানে রয়েছে তা জেনে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবে কমিশনারেটের কর্তারা।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলক রাজোরিয়া বলেন, ‘এই উদ্যোগের মাধ্যমে টিনএজারদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া যাবে। অনেক সময় তাদের ঠিকমতো করে কাউন্সেলিং না করার জন্যই তারা না বুঝেই আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। সেটা রুখতে আমাদের এই পদক্ষেপ। এর আগে ‘পুলিস বন্ধু’র মতো কর্মসূচি নিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার। সেই কর্মসূচিতে ভালই সাড়া পেয়েছে। এবার তাই নতুন কর্মসূচি, মনের কথা পুলিশ দিদির সঙ্গে।’
রুদ্র নারায়ণ রায়





