মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কাজ শেষে ফেরার পথে উল্টে যায় ওই চিকিৎসক পড়ুয়াদের নিয়ে আসা গাড়ি। তখনই গাড়িটি ডাম্পারে ধাক্কা মারে বলেও জানা গিয়েছে। গাড়িটিতে চারজন চিকিৎসক পড়ুয়া ছিলেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারজনের। তাঁদের মধ্যেই একজনের বাড়ি বেলঘড়িয়ার পূব পাড়ায়।
advertisement
মৃত চিকিৎসক পড়ুয়ার নাম অর্ণব চক্রবর্তী। আগামী বছরই ইন্টার্নশিপ শেষ হওয়ার কথা ছিল অর্ণবের। উত্তর প্রদেশের ওই মেডিক্যাল কলেজেই ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়াশোনা শেষে কলকাতায় ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অর্ণব।
ধীরে ধীরে বইপত্র, দরকারি জিনিসপত্র পাঠিয়েও দিচ্ছিলেন বাড়িতে। ছেলের জন্য নতুন ঘরও তৈরি করাচ্ছিলেন বাবা অরুণ চক্রবর্তী- স্বপ্ন ছিল, চিকিৎসা জীবন শুরু করার পর ছেলেকে স্থায়ীভাবে বাড়িতে পাবে পরিবার। কিন্তু সেই স্বপ্নই মুহূর্তে ভেঙে চুরমার করে দেয় ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা।
খবর পাওয়া মাত্রই বাকরুদ্ধ হয়ে যান পরিবার-পরিজনেরা। শোকের ছায়া নেমে এসেছে বেলঘড়িয়ার পূব পাড়ায়। তরতাজা প্রাণ অর্ণবের, এমন অকাল মৃত্যুকে কেউই মেনে নিতে পারছেন না। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ছেলেটি পড়াশোনায় ভীষণ ভাল ছিল। একেবারে শান্ত স্বভাবের। এমন খবর বিশ্বাস করা কঠিন। দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য পরিবারের তরফে রওনা দিয়েছেন পরিজনেরা।
উত্তর নারায়ণ রায়






