সূত্রের খবর, বহরমপুরে ঈশার হদিশ পান তদন্তকারীরা। এরপর সেখানে গিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় ঈশাকে। শুক্রবারই কলকাতার বিশেষ এনআইএ আদালতে পেশ করে ঈশাকে নিজেদের হেফাজতে চায় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলে আদালত আবেদন করেন এনআইএ আইনজীবী। পাঁচ দিনের এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Nimtita Blast Update)।
advertisement
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে এই ঘটনার (Nimtita Blast Update) পরই জাকির হোসেনকে নিয়ে কলকাতা আসা হয়। দীর্ঘ কয়েক মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এই বিস্ফোরণে আইডি ব্যবহার হয়েছিল। এবং বিস্ফোরক হিসেবে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই মামলায় মহামুজ্জিন সেখ ও শহিদুল ইসলাম বলে দুজনকে গ্রেফতার করেছিল। গোয়েন্দারা তদন্ত করে জানতে পারে। স্টেশন চত্বরে বিস্ফোরক আনা ও লুকিয়ে রাখার কাজ করেছিল। তাদের গ্রেফতার করে গত বছর অগস্ট মাসে বিস্ফোরক আইনে চার্জশিট দিয়েছে এনআইএ। এবার খোদ বিস্ফোরক সরবরাহকারী ঈশা খান এনআইএ জালে।
এই তদন্তে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছিল। জানা গিয়েছিল হামলার ২০ দিন আগেই তৈরি হয়েছিল পরিকল্পনা। বিস্ফোরক তৈরি করেছিল সহিদুল ইসলাম ওরফে কেমিক্যাল সহিদুল। বিস্ফোরক তৈরিতে সে দক্ষ। মন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দু’জনকে আলাদা করে জেরা করা ছাড়াও মাঝে মাঝেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছিল, আবু সামাদ স্টেশন চত্বরেই ঘোরাঘুরি করত। ফলে কে কখন যাচ্ছে আর আসছে সেটা পুরোটাই জানত। ফলে জাকির এলে কোন রাস্তা দিয়ে আসতে পারে, সেই সম্পর্কেও তার ধারণা ছিল। সেজন্যই আবুর থেকে পুরো তথ্য নেয় সহিদুল। তবে এখন ঈশাকে হেফাজতে নিয়ে কোথা থেকে বিস্ফোরক এসেছিল কে বরাত দিয়েছিল, সম্ভবত তা জানতে চাইবে এনআইএ।