Madhyamik 2022: দু-চোখে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন! মনের জোরে পায়ে লিখেই মাধ্যমিকে ৯০% মুর্শিদাবাদের আলম রহমানের
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
ছাত্র মহম্মদ আলম রহমান ১০০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সঙ্গে নিয়েই এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। মাধ্যমিক রেজাল্ট প্রকাশ হতেই স্কুলের সকলকে চমকে দিয়ে প্রথম হয়েছেন মহম্মদ আলম রহমান।
#মুর্শিদাবাদ: মনের জোর থাকলে হার মেনে যায় সবকিছু। আর সেই অদম্য মনের জোরের কাছে 'প্রতিবন্ধী' একটি শব্দ মাত্র। সেই দুর্বার মনের জোর আর আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই আজ যাবতীয় প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্কুলের প্রথম হয়ে বড়ঞার মুখ উজ্জ্বল করলেন প্রতিবন্ধী ছাত্র মোঃ আলম রহমান। পায়ে লিখেই স্কুলের মধ্যে প্রথম হয়ে নজীর গড়লেন মহম্মদ আলম রহমান। পেলেন ৯০ শতাংশ নম্বর।
মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার অন্তর্গত বৈদ্যনাথ গ্রামের বাসিন্দা আলম। ভরতপুর থানার অন্তর্গত গড্ডা গণপতি আদর্শ বিদ্যাপতি স্কুলের ছাত্র মহম্মদ আলম রহমান ১০০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সঙ্গে নিয়েই এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। মাধ্যমিক রেজাল্ট প্রকাশ হতেই স্কুলের সকলকে চমকে দিয়ে প্রথম হয়েছেন মহম্মদ আলম রহমান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬২৫।
advertisement
advertisement
রাজ্যে হয়ত মেধাতালিকায় প্রথম দশের মধ্যে আসতে পারেনি কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে গণিতে ৯৮, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৪, ভূগোলে ৯৫ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই ছেলে বড়ঞা ব্লকে। হাসি ফুটেছে পরিবার সহ গ্রামের মানুষের। গর্বে বুক ভরেছে স্কুল শিক্ষকদের।

advertisement
১০০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী কী না স্কুলের প্রথম! যে নিজে স্নান করতে পারে না, খাবার খাওয়ার জন্য মায়ের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। সে স্কুলের প্রথম? বাবার ছোট্ট মুদিখানার ওপর পরিবারের ভার। আর্থিক ভাবে স্বচ্ছলতা না থাকলেও সমস্ত বাধাকে উপেক্ষা করেই এগিয়ে চলেছে মহম্মদ আলম রহমান। তবে শুধু পরিবার না, স্কুলের বন্ধু থেকে শুরু করে শিক্ষকরা তাকে নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন বলেই জানিয়েছে আলম রহমান।
advertisement
তাঁর সাফল্যের এই খবর পাওয়া মাত্র বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে আলমকে। এছাড়াও শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা বার্তা ভরিয়ে দিয়েছেন সবাই। আগামী দিনে মহম্মদ আলম রহমানের স্বপ্ন মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার। পড়তে চায় বিজ্ঞান নিয়ে কিন্তু বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে পরিবারের আর্থিক অবস্থা। আলমের বাবা ফিরোজ মহম্মদ বলেন "সে একা স্কুল যেতে পারে না। সাইকেলে করে নিয়ে যেতে হয়। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য অনেক দূর যেতে হবে। সংসার চালিয়ে ওর পড়াশোনা কী ভাবে চালাব সেটাই চিন্তা করছি।" এ বিষয়ে গড্ডা গণপতি আদর্শ বিদ্যালয়ের এস আই তনুময় দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "ভাবতে এবং বলতে খুব ভালো লাগছে প্রতিবন্ধকতা শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও বাধা হয় না তাঁর প্রমাণ মোহম্মদ আলম রহমান। তাঁর পড়াশোনার যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পরিবারের আর্থিক সমস্যার কথা জানাব।" আগামী দিনে আরও এগিয়ে চলুক মহম্মদ আলম রহমান। তাঁকে শুভেচ্ছা নিউজ ১৮ বাংলার তরফেও। কোনও কিছু বাধা নয়, নিজের মনের ইচ্ছাই আসল! এই বার্তাই দিয়ে চলেছে রহমানের সাফল্য গাঁথা।
advertisement
প্রতিবেদনঃ কৌশিক অধিকারী ।মুর্শিদাবাদ
Location :
First Published :
June 04, 2022 10:52 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/মুর্শিদাবাদ/
Madhyamik 2022: দু-চোখে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন! মনের জোরে পায়ে লিখেই মাধ্যমিকে ৯০% মুর্শিদাবাদের আলম রহমানের