Sandalwood Benefits: এভাবে ব্যবহার করলেই ফল মিলবে হাতে-নাতে! গ্রীষ্মে ত্বকে ৬ চমৎকার দেখাতে পারে চন্দন

স্যান্টালম অ্যালবাম গাছ থেকে নিষ্কাশিত চন্দন তেল সারা বিশ্বে সৌন্দর্য পণ্যগুলির একটি মূল উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ছোটবেলা থেকেই ত্বক চর্চায় চন্দনের গুণাগুণের কথা বলতেন মা-ঠাকুমারা। সত্যিই এর জুড়ি নেই। গরমের এ সময়টাতে রূপচর্চা করার উপাদানগুলোতে শীতল ভাব থাকলে তা যেন বাড়তি পাওনা। চন্দন সেটাই করে। শুধু তাই নয়, ত্বকের অতিরিক্ত তেলও শুষে নেবে। অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করবে।

চন্দন গুঁড়ো এবং তেল ত্বকের জন্য একটা জাদুকরী অমৃত। কারণ তারা প্রায় যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে।

বার্ধ্যক্য রুখে দেবে: চন্দনের তেল ত্বককে ঝুলে যাওয়া থেকে আটকায়। এটা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। চন্দন ফ্রি র‌্যাডিকেল থেকে সৃষ্ট ক্ষতির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। মধু এবং ডিমের কুসুমের সঙ্গে চন্দন তেল মিশিয়ে ২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ব্রন নিরাময় করে: ব্রন এবং ফুসকুড়ির জ্বালায় চন্দন প্রশান্তির অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়। অল্প এবং হলুদ গুঁড়ো এবং চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখতে হবে সারা রাত। পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে জলে।

দাগ মেটায় এবং ত্বক নরম করে: চন্দন ক্ষত এবং দাগের উপস্থিতি হ্রাস করে এবং ত্বককে নরম করে। চন্দন তেল না পেলে চন্দন পাউডারের সঙ্গে ত্বকের জন্য উপযুক্ত এমন কেরিয়ার তেল মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেটা লাগাতে হবে আক্রান্ত স্থানে। এবার ১২ ঘণ্টা এভাবে থাক। তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলতে হবে।

অ্যান্টি-ট্যানিং বৈশিষ্ট: চন্দন তেল ত্বকের ট্যানিং থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি দুর্দান্ত উপায়। চন্দন তেল (বা গুঁড়ো), মধু, লেবুর রস এবং দই দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে ঠান্ডা জলে।

প্রিকলি হিট থেকে বাঁচায়: ত্বকে প্রশান্তির অনুভূতি দেয় চন্দন। তাই প্রিকলি হিট নিরাময়ে এর জুড়ি নেই। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেই এটা ব্যবহার করতে পারে।

একজিমা নিরাময় করে: চন্দন তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান অ্যাকনে, সোরিয়াসিস, একজিমা, সাধারণ ওয়ার্টস ও ত্বকের সংক্রমণ রোধ করে। চন্দন ও হলুদের ক্রিম কেমোথেরাপি রেডিয়েশনের কারণে হয়ে থাকা ডিসকালারেশনও আটকায়।