গ্রীষ্মকালে মাটির বাড়ির তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রা থেকে প্রায় ১০ ডিগ্রি কম হতে পারে, অপরদিকে শীতকালে মাটির বাড়ি গরম থাকে। সেই কারণে অত্যন্ত আরামদায়ক হয় মাটির বাড়ি। বাঁকুড়া উন্নয়নী ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর সিভিল ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অসীম গোস্বামী বলেন, “মাটির বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব!” প্রফেসর বলেন, “মাটির বাড়ি ধরে রাখার কোনও বাইন্ডিং এজেন্ট থাকে না। সেই কারণে ধসে যেতে পারে মাটির বাড়ি। তবে ‘কম্প্রেসড আর্থ ব্লকের’ মাধ্যমে করা যেতে পারে সমস্যার সমাধান।”
advertisement
আরও পড়ুন: কজওয়ে ঠিক করে দেয়নি কেউ, নিজেরাই বানালেন কাঠের সাঁকো! আর তাতেই নতুন আশঙ্কা প্রশাসনের
কম্প্রেসড আর্থ ব্লক অর্থাৎ খুবই ঘন ভাবে মাটি কম্প্রেস করে ইটের আকারে তৈরি করা ব্লক। ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণে সাধারণ কাদামাটির চেয়ে বেশি স্টেবিলিটি এবং কাদামাটির থার্মাল গুণাবলী দুই থাকবে এই ব্লকের মধ্যে। ফলে এই ব্লক ব্যবহার করে বাড়ি তৈরি করলে, সেটি যেমন মাটির বাড়ি হবে, তেমনই আবার গ্রীষ্মে থাকবে ঠান্ডা শীতকালে থাকবে গরম। বর্ষায় ধসে পড়ার সম্ভাবনা কমবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্ষাকালে প্রত্যন্ত বাঁকুড়ায় গেলে দেখতে পাওয়া যায় বন্যার কারণে ধসে যাচ্ছে মাটির বাড়ি। কাদা কাদা হয়ে রয়েছে গোটা ঘর এবং উঠোন। সাধারণ জীবন ব্যাহত হয় প্রচন্ড পরিমাণে এবং বাস্তুহারা হন অনেকেই। কম্প্রেসড আর্থ ব্লকের ব্যবহার এবং সরকারি উদ্যোগ থাকলে একটু একটু করে আধুনিকরণ করা সম্ভব বলেই মনে করছেন প্রফেসর।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী