আরও পড়ুন- ঘণ্টায় ৩৮,০০০ কিমি…! ধেয়ে আসছে ‘মহাপ্রলয়’! ধ্বংস হবে বহু শহর…ভারতও ‘গুঁড়ো’ হয়ে যাবে?
পাশের ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম মূলত সেলুন কারের জন্য ব্যবহার করা হত। সেটির কাজ শেষ হলে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মকে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অ্যাকসিডেন্ট রিলিফ ট্রেন চালানোর জন্য ব্যবহার করা হবে। সেলুন কারের জন্য ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- যখন তখন ‘বাতকর্ম’ করে ফেলেন? পেটে চাপ আসে গুরগুর করে…? এই ‘ছোট্ট’ জিনিসে চিরতরে মুক্তি!
হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার সম্প্রতি ওই প্ল্যাটফর্ম পরিদর্শন করেন। তিনি জানিয়েছেন, কাজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুণমান বজায় রেখে দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চলছে। ওই দুই প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির কাজ হয়ে গেলে দূরপাল্লার ট্রেন চালানোয় অনেকটা সুবিধা হবে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য সংক্রান্ত একাধিক পরিকাঠামোর সম্প্রসারণও সম্ভব হবে।দেশের মধ্যে সর্বাধিক ২৩টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে এই স্টেশনে। দিনে দশ লক্ষেরও বেশি যাত্রীর যাতায়াত। গোটা দেশের অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশন হাওড়া। স্টেশনটির পরতে পরতে ইতিহাস।
বর্তমানে রোজ ৪৫০ সাবার্বান এবং ১০৭টি দূরপাল্লার ট্রেন এখান থেকে চলাচল করে।স্টেশনটির ১ থেকে ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম রয়েছে ওল্ড কমপ্লেক্সে আর ১৭ থেকে ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম আছে নিউ কমপ্লেক্সে। তবে এটা হয়তো অনেকেরই অজানা যে, এই স্টেশনে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মই নেই।১৯০৫ সালে সাত প্ল্যাটফর্ম দিয়ে শুরু হয়। ১৯৮৪ সালে ১৫। ১৯৯২ সালে নতুন টার্মিনাল তৈরি হয় এই স্টেশনের। ২০০৯ সালে প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৩। অন্যদিকে এই প্ল্যাটফর্মগুলি চওড়া হলে সেই কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে বলে মনে করছেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। কারণ বড় সমস্যা হয় যখন লোকাল ট্রেন প্লাটফর্ম না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
তার জেরে লোকাল ট্রেন কখনও ধীরগতিতে বা কখনও নির্ধারিত সময়ের দেরিতে প্লাটফর্মে ঢোকে। আর তাতে অফিসযাত্রীরা সমস্যায় পড়েন।প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১৫ ও ১৬ এখন দৈর্ঘ্য ৩০০ মিটার। সেটাই বেড়ে হচ্ছে ৫৯০ মিটার।রেল মন্ত্রকের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেখা যাবে নয়া হাওড়া স্টেশনকে। ইতিমধ্যেই হাওড়া স্টেশনে নয়া প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।