অমিতের দোকানে মাত্র ৫ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে মিলছে একেবারে নতুন জামাকাপড়। উদ্দেশ্য একটাই, অভাবী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। নিজের ছোটোবেলার অভাব অনটনের কথা ভেবেই এই উদ্যোগে নেমেছেন সিভিক ভলেন্টিয়ার অমিত।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
কীভাবে সম্ভব এত কম দামে নতুন জামা দেওয়া! বিরাটি, বিশরপাড়া এলাকায় একাধিক গেঞ্জি কারখানায় গিয়ে অল্প দামে কাপড় কিনে নিয়ে এসে অমিত ও তাঁর স্ত্রী মধুমিতা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে সেলাই করে জামা-কাপড় তৈরি করে তা বিক্রি করেন ওই দোকানে। দোকান খোলা থাকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। অমিতের স্ত্রী মধুমিতা সরকারও পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি বারাসতে কর্মরত। ডিউটি শেষ করে অবসর সময় তিনি স্বামীকে সাহায্য করেন। তার গরীব বাজারে সাজিয়ে রাখা আছে নানা রঙের নতুন জামা। কাজের ফাঁকে, অর্থাৎ চাকরি শেষে অবসর সময়ে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই দোকান চালান অমিত ও তার স্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন Monkey drinking ORS: ঝাড়গ্রামে ওষুধের দোকানে বসে ORS খেল অসুস্থ হনুমান, চারিদিকে হুলুস্থুল
তাঁর এই নিঃস্বার্থ উদ্যোগ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বহু মানুষ অমিতের এই চিন্তা ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। কেউ কেউ পাশেও দাঁড়াতে চাইছেন তার। রাজ্য প্রশাসন এবং সমাজকর্মীদের পক্ষ থেকেও অমিতের মানবিক এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের কাজ সমাজে পুলিশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে অনেকটাই সাহায্য করবে। স্পেশাল সিভিক ভলেন্টিয়ার অমিতের গরিব বাজার তাই হয়ে উঠেছে বহু মানুষের কাছে – মূল্য নয়, হৃদয়ের বাজার।
Rudra Narayan Roy