বরাবাজার ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর আগে এই পর্যটন কেন্দ্র প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু এখানে পর্যটকদের জন্য থাকার কোন ব্যবস্থা না হওয়ার কারণে পুরুলিয়ার একটি সাইট সিয়িং হিসেবেই পর্যটকদের ভ্রমণের তালিকায় জায়গা করে নেয় এই ঝরনাকোচা। এবার পর্যটকদের কথা চিন্তা করে বড়বাজার ব্লক প্রশাসন একটি কমিউনিটি হলকে নব রূপে সুসজ্জিত করে পর্যটক আবাসের রূপে গড়ে তুলেছে। এই আবাসনে আপাতত ৮ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পর্যটক আবাসন নিয়ে আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। আগামী দিনে এই পর্যটক আবাস বুকিং করতে হলে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের ওয়েবসাইট থেকে করা যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
advertisement
প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে একেবারেই স্বর্গের মত ঝরনাকোচা। সবুজ উপত্যকায় ঢাকা এই ঝরনাকোচা খুব সহজেই পর্যটকদের চোখ টানে। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া যায় এই পর্যটন কেন্দ্রে। সবুজে ঘেরা এই পর্যটন কেন্দ্রের চারিদিকে শুনতে পাওয়া যায় পাখির ডাক। ঝরনাকোচা ছুঁয়ে ধারবুরু পাহাড় পর্যন্ত যাওয়া যায়। প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ ট্রাকিং রুট হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। যা পাহাড় প্রেমীদের কাছে খুবই পছন্দের হয়ে উঠেছে।
বরাবাজার ব্লক প্রশাসন সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে , বরাবাজার পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা এই পর্যটক আবাসটি দেখাশোনা করবে সিন্দরি গ্রাম পঞ্চায়েত ও স্থানীয় একটি ক্লাব। পর্যটকদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করবে স্থানীয় ওই ক্লাবটি। এর ফলে কিছুটা হলেও আয়ের বন্দোবস্ত হবে। একেবারেই ঘরোয়া ও গ্রাম্য খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে পর্যটকদের জন্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পুরুলিয়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে এই ঝরনাকোচা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি