‘গোবিন্দ দর্পণে’ আরও উল্লেখ রয়েছে, ঠিক ১৯৪০ সালের ২৮ এপ্রিল বেলা ১১ টা নাগাদ দেশবন্ধু বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছিলেন নেতাজি। বলেছিলেন, “দেশবন্ধু বিদ্যালয় পরিদর্শন করিয়া বিশেষ আনন্দ লাভ করলাম। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের স্মৃতি রক্ষার্থে এই প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠিত হইতেছে। এই প্রচেষ্টার দ্বারা দেশের এবং দশের কল্যাণ হইবে বলিয়া বিশ্বাস। আশা করি জনসাধারণের নিকট হইতে এই প্রতিষ্ঠান সর্বদা সহানুভূতি ও সহায়তা লাভ করিবে। দেশবন্ধু বিদ্যালয় দিনের পর দিন উন্নতি লাভ করুক এই কামনা করি। এই প্রতিষ্ঠান দেশবন্ধু নামের মর্যাদা যেন সর্বদা রক্ষা করিতে পারে এবং দেশবন্ধুর জীবনের আদর্শকে যেন সাফল্য মণ্ডিত করিয়া তোলে।”
advertisement
বাঁকুড়ার মাটিকে স্পর্শ করেছিলেন মহান এই বিপ্লবী , সেই সময় বাংলার আকাশ ক্রমশ তপ্ত হয়ে উঠেছিল ব্রিটিশ বিরোধী তীব্র আন্দোলনে। এসেছিলেন বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটির বিভিন্ন জায়গায়। অমরকানন, দেশুরিয়া প্রভৃতি। বাঁকুড়া নরমপন্থী বিপ্লবী নেতা গোবিন্দপ্রসাদ সিংহের সঙ্গে সখ্যতা ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঁকুড়া এক মুখ্য ভূমিকা পালন করে তৎকালীন সময়ে যা ইতিহাসের পাতায় উঠে আসে না।
বাঁকুড়াবাসী আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তাঁকে। প্রাতঃস্মরণীয় এই মহান ভারতমাতার বীর এই যোদ্ধাকে এবছর *মুক্তাঙ্গন* সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করলেন বাঁকুড়ার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মুকুল মুখার্জি। যিনি পেশায় বাঁকুড়ার জেলা শাসকের অধীন শিশু সুরক্ষা বিভাগে কর্মরতা। এই সংগীতের গীতিকার ও সুরকার শিল্পী ও শিক্ষক মহাদেব মুখার্জি, সংগীত আয়োজক বিকাশ চন্দ্র শীট।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী