আরও পড়ুন– মৌসুমী অক্ষরেখা, ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি চলবে রাজ্য জুড়ে !
দোকানের কর্ণধার সৌমেন দাস জানান, তাঁর দাদু গোবিন্দচন্দ্র নাগ এই দোকানের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন দোকানটি ছিল ছোট একটি দোকান। গোবিন্দবাবু ছিলেন নেতাজির অনুগামী। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৩৮ সালে বর্ধমান এসেছিলেন বর্ধমান পৌরসভার একটি ভবন উদ্বোধন করতে। তিনি কার্জন গেট থেকে বিসি রোড দিয়ে পদযাত্রা করে যাওয়ার সময় গোবিন্দচন্দ্র নাগ তাঁর মিষ্টির দোকানটির দেখান নেতাজিকে। তখন তিনি গোবিন্দবাবুর দোকানে যান এবং মিষ্টি খান সেখানে। আর তারপর থেকেই গোবিন্দবাবু তাঁর দোকানের নামকরণ করেন দেশনায়ক নেতাজির নামে। দোকানে ঢুকলেই দেখা যাক নেতাজির স্মৃতিচিহ্ন, সেই সময়কার পদযাত্রার একটি ছবি। বর্তমানে নেতাজি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের দুটি শাখা রয়েছে। দুটি দোকানের নামে নেতাজি মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। শুধু দোকান নয়, তাঁর বাড়িটির নামও নেতাজির নামেই। এমনকি সৌমেনবাবুর দাদুর শুরু করা প্রথা অনুযায়ী আজও প্রতিবছর নেতাজির জন্মদিন পালন করা হয়। আগের মতো বড় করে জন্মদিন পালন না করতে পারলেও তাঁর দাদুর তৈরি ঐতিহ্যকে বজায় রেখে চলেছেন সৌমেনবাবু।
advertisement
দোকানে ঢুকলেই দেখা যায় নেতাজির স্মৃতিচিহ্ন, সেই সময়ের পদযাত্রার সাদাকালো একটি ছবি। প্রতি বছর নেতাজির জন্মদিন পালনের মধ্যে দিয়ে এভাবেই বর্ধমানের এই মিষ্টির দোকানটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নেতাজির স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বর্ধমান শহরের বুকে নেতাজি মিষ্টান্ন ভাণ্ডার শুধু একটি মিষ্টির দোকান নয়, এটি দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।