TRENDING:

নেতাজির স্মৃতি বহন করে চলেছে বর্ধমানের একটি দোকান, যা আজও দেশপ্রেমের প্রতীক

Last Updated:

এই দোকান শুধুমাত্র নেতাজির নামই নয় বহন করে চলেছে তার স্মৃতিও। দোকানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্বয়ং নেতাজির বর্ধমান আগমনের স্মৃতি। বর্ধমানে এসে এই দোকানে মিষ্টি খেয়েছিলেন নেতাজি আর তার থেকেই এই দোকানের নাম হয় 'নেতাজী মিষ্টান্ন ভান্ডার'।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বর্ধমান, সায়নী সরকার: নেতাজির নামে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই রাজ্যে তো বটেই, গোটা দেশ জুড়েই। কিন্তু বর্ধমানের এই মিষ্টির দোকানটির গল্প সম্পূর্ণ আলাদা। বর্ধমানের কার্জন গেট থেকে বিসি রোড দিয়ে হাঁটলে দু’পাশে চোখে পড়বে একের পর এক দোকান। আর তার মাঝেই রয়েছে ‘নেতাজির মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’। এই দোকান শুধুমাত্র নেতাজির নামই নয়, বহন করে চলেছে তাঁর স্মৃতিও। দোকানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্বয়ং নেতাজির বর্ধমান আগমনের স্মৃতি। বর্ধমানে এসে এই দোকানে মিষ্টি খেয়েছিলেন নেতাজি আর তার থেকেই এই দোকানের নাম হয় ‘নেতাজি মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’।
advertisement

আরও পড়ুন– মৌসুমী অক্ষরেখা, ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি চলবে রাজ্য জুড়ে !

দোকানের কর্ণধার সৌমেন দাস জানান, তাঁর দাদু গোবিন্দচন্দ্র নাগ এই দোকানের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন দোকানটি ছিল ছোট একটি দোকান। গোবিন্দবাবু ছিলেন নেতাজির অনুগামী। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৩৮ সালে বর্ধমান এসেছিলেন বর্ধমান পৌরসভার একটি ভবন উদ্বোধন করতে। তিনি কার্জন গেট থেকে বিসি রোড দিয়ে পদযাত্রা করে যাওয়ার সময় গোবিন্দচন্দ্র নাগ তাঁর মিষ্টির দোকানটির দেখান নেতাজিকে। তখন তিনি গোবিন্দবাবুর দোকানে যান এবং মিষ্টি খান সেখানে। আর তারপর থেকেই গোবিন্দবাবু তাঁর দোকানের নামকরণ করেন দেশনায়ক নেতাজির নামে। দোকানে ঢুকলেই দেখা যাক নেতাজির স্মৃতিচিহ্ন, সেই সময়কার পদযাত্রার একটি ছবি। বর্তমানে নেতাজি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের দুটি শাখা রয়েছে। দুটি দোকানের নামে নেতাজি মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। শুধু দোকান নয়, তাঁর বাড়িটির নামও নেতাজির নামেই। এমনকি সৌমেনবাবুর দাদুর শুরু করা প্রথা অনুযায়ী আজও প্রতিবছর নেতাজির জন্মদিন পালন করা হয়। আগের মতো বড় করে জন্মদিন পালন না করতে পারলেও তাঁর দাদুর তৈরি ঐতিহ্যকে বজায় রেখে চলেছেন সৌমেনবাবু।

advertisement

আরও পড়ুন– চিংড়িহাটায় ‘যান-যন্ত্রণা’-র দিন এবার শেষ ! যানজট মুক্ত হচ্ছে রাস্তা, বড় পদক্ষেপ কলকাতা পুলিশের

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

দোকানে ঢুকলেই দেখা যায় নেতাজির স্মৃতিচিহ্ন, সেই সময়ের পদযাত্রার সাদাকালো একটি ছবি। প্রতি বছর নেতাজির জন্মদিন পালনের মধ্যে দিয়ে এভাবেই বর্ধমানের এই মিষ্টির দোকানটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নেতাজির স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বর্ধমান শহরের বুকে নেতাজি মিষ্টান্ন ভাণ্ডার শুধু একটি মিষ্টির দোকান নয়, এটি দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
নেতাজির স্মৃতি বহন করে চলেছে বর্ধমানের একটি দোকান, যা আজও দেশপ্রেমের প্রতীক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল