দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। আর যা চোখের সামনে এত অশান্তি দেখে এখনও ভুলতে পারছেন না ফরাক্কার বাসিন্দা সত্যেন ঘোষ।
চোখের চিকিৎসার জন্য বিখ্যাত নেপাল। মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বহু মানুষ যান নেপালে চোখের চিকিৎসা করানোর জন্য। ঠিক তেমনই গিয়েছিলেন ফরাক্কার ব্লকের পলাশী গ্রামের বাসিন্দা সত্যেন ঘোষ। সত্যেন ঘোষ পেশায় একজন গাড়ির চালক। ফরাক্কা ব্যারেজ আবাসন থেকে দুইভাইকে সঙ্গে নিয়ে চোখের চিকিৎসা করার জন্য নেপালে নিয়ে গিয়েছিল। দুই দিন আগে নেপালের ভিতরে প্রবেশ করেন।
advertisement
তাঁর চোখের সামনে দেখে নেপালের উত্তাপ পরিস্তিতি। এবং তাঁদের দিকে এগিয়ে আসছে লোকজন। সেই সময় পরিস্থিতি খারাপ বুঝতে পেরেই গাড়ি চালক সত্যেন ঘোষ গাড়ি ঘুরিয়ে আবার ভারতের দিকে ফিরে আসে। তারপর ওই দুইভাই শিলিগুড়িতে নেমে যায়। বুধবার ফরাক্কায় ফিরে আসে গাড়ি চালক সত্যেন ঘোষ। চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন তিনি।
সত্যেন ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আমাদেরকে নেপাল ঢোকার সময় নিরাপত্তারক্ষীরা বারণ করেছিলেন। আমরা গাড়ি নিয়ে নেপাল প্রবেশ করি। কিন্তু ভাবিনি এমন ঘটনা ঘটবে। পশ্চিমবঙ্গের নম্বর প্লেট দেখা গাড়ি দেখেই ধাওয়া করেছিল ক্ষিপ্ত সাধারণ মানুষ। পরে কোনও রকমে প্রাণে রক্ষা পেয়ে ফিরে আসি। এখনও ভুলতে পারছি না সেই ঘটনা। আমরা চাই নেপাল সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসুক। শান্তি ফিরুক নেপালে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছাত্র-যুব আন্দোলনে সোমবার এবং মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় নেপালে। অন্যদিকে, নেপালের বাঁকে জেলার সংশোধনাগারের সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্যদিকে, আনুষ্ঠানিক ভাবে নেপালের দায়িত্ব নিয়েছে সে দেশের সেনাবাহিনী। বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, যত দিন পর্যন্ত না নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে, তত দিন দেশের শাসনভার চালাবে তারা। শুধু তা-ই নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশ জুড়ে কার্ফু জারি করা হয়েছে সেনার তরফে।