তাহেরপুর: ‘বিহার হয়েই মা গঙ্গা পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন…’৷ বিহার নির্বাচনের ফলাফলের পরে এই কথাই বারবার শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-সহ অন্য বিজেপির নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছিল৷ বার্তা ছিল, বিহারের পরেই লক্ষ্য বাংলা৷ এদিনও মোদির মুখে শোনা গেল সেই কথা৷ বললেন, ‘‘বিজেপি-কে একটা সুযোগ দিন। দেখুন কী উন্নয়ন করি।’’
advertisement
এদিন সকাল সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে তাঁকে রাজ্যের তরফে স্বাগত জানান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তারপর সকাল ১১টা ১৫মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে করে তাহেরপুরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি৷ তারপরেই অবশ্য ঘন কুয়াশার কারণে কলকাতায় ফিরে আসে মোদির কপ্টার৷ তারপরে ফোনেই সভাকে উদ্দেশ্য করে সম্ভাষণ করেন তিনি৷
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশার জের, রানাঘাটে নামতেই পারল না মোদির কপ্টার! ফিরল কলকাতায়
বিহার নির্বাচনের আগে বারবার আরজেডি-র ‘জঙ্গলরাজে’র অধ্যায়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল বিজেপি নেতারা৷ এদিন পশ্চিমবঙ্গ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েও সেই ‘জঙ্গলরাজ’ প্রসঙ্গ তোলেন মোদি৷ আরও একধাপ এগিয়ে মোদির মন্তব্য, ‘‘বাংলায় মহা জঙ্গল রাজ চলছে। পশ্চিমবঙ্গের সব শহর গলি সব জায়গার মানুষ বলছে ‘বাঁচতে চাই বিজেপি তাই’।’’
মোদি বলেন, ‘‘মোদি আপনাদের বিকাশের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছে । পশ্চিমবঙ্গের বিকাশের জন্য মোদি জি আছে। তৃণমূল মোদি বিরোধিতা করছেন তো হাজার বার করুন। কিন্তু একারণে বাংলার উন্নয়ন আটকে যাচ্ছে।’’
এরপরেই মানুষের উদ্দেশ্যে আবেদন শোনা যায় মোদির মুখে, ‘‘মোদি বিরোধিতা করুন কিন্তু বাংলার মানুষের অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করবেন না । তাই একবার বিজেপিকে সুযোগ দিয়ে দেখুন।’’ তাঁর কথায়, তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কিছু জায়গায় দেখলাম গো ব্যাক মোদি লেখা আছে। বাংলার প্রতি গলিতে লেখা থাকবে গো ব্যাক অনুপ্রবেশকারী। এরাজ্যের সরকার গো ব্যাক মোদি লিখতে পারে কিন্তু গো ব্যাক অনুপ্রবেশকারী লিখতে পারে না।’’
সেই প্রসঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের কথাও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন মোদি৷ তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আর তৃণমূল বিজেপির বিরোধিতা করছে। বাংলার মানুষও লাল ঝাণ্ডাকে সরিয়েছে ত্রিপুরার মতো। কিন্তু তৃণমূল সরকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারেনি। বাংলায় বিজেপি সরকার চাই।’’
