মোদির সফরের জন্য রাস্তার দুপাশ সেজে উঠেছে বিজেপির দলীয় পতাকা , প্রধানমন্ত্রীর কাট আউটে। উনিশের লোকসভা কিংবা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই দুর্গাপুর ভাল ফল দিয়েছিল বিজেপি-কে৷ কিন্তু পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে দেখা যায় রাঢ়বঙ্গে পিছিয়ে পড়ে পদ্ম শিবির। তৃণমূল ফের নিজের জমি পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয় দুর্গাপুর এবং সংলগ্ন কেন্দ্র গুলিতে। তাহলে কি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামনে রেখে ফের রাঢ়বঙ্গে নিজেদের হাত শক্ত করতে চাইছে বিজেপি। এদিন শমীক ভট্টাচার্য দুর্গাপুরের একটি মন্দিরে পুজোও দেন৷
advertisement
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাঢ় বঙ্গের ৮ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৫ টিতে জয় পায় বিজেপি । কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে সেটি নেমে আসে ২ এ। অন্যদিকে, ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ৫৭ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮ টি যায় বিজেপির ঝুলিতে। নিজেদের পুরনো জেতা আসন ধরে রাখতেই মোদিকে সামনে রেখে লড়াইয়ের চেষ্টা বিজেপির।
বঙ্গেপা রাখার আগেই এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে নিশানা করে ঝাঁঝাল পোস্ট করেন নরেন্দ্র মোদি৷ তৃণমূলের অপশাসন চলছে পশ্চিমবঙ্গে। এখানে একমাত্র ভরসা বিজেপি! পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে জনসভার আগের রাতে সমাজমাধ্যমে এমনই বার্তা দেন তিনি৷ সেই সঙ্গে তাঁর জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বানও জানান।
বৃহস্পতিবার রাতে সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, ‘‘তৃণমূলের অপশাসনে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ। সেখানকার মানুষ বিজেপিকেই ভরসা করছেন। মানুষ জানেন, বিজেপিই একমাত্র উন্নয়ন আনতে পারে। ১৮ জুলাই আমি দুর্গাপুরে বিজেপির সভায় ভাষণ দেব। আপনারা সকলে আসুন।’’
এদিন একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির৷ তার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার ‘নগর গ্যাস সরবরাহ’ প্রকল্পের শিলান্যাস। দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটির উদ্বোধন। পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে দুর্গাপুর ইস্পাত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ‘ফ্লু গ্যাস ডিসালফারাইজ়েশন’ ব্যবস্থার উদ্বোধন। পুরুলিয়া-কোটশিলা ৩৬ কিলোমিটার রেলপথে ‘ডাবল লাইনে’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। ‘সেতু ভারতম’ প্রকল্পে তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দু’টি রোড ওভার ব্রিজের উদ্বোধন। বেলা তিনটে নাগাদ শুরু হবে মোদির রাজনৈতিক জনসভা। আজ এই খবরে নজর থাকবে।