Pakistan: ফিরছে ২০২২ এর স্মৃতি! এতদিন কিচ্ছু করেনি পাকিস্তান...ফল ভুগছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, পড়শি দেশজুড়ে মৃত্যু মিছিল
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
দুর্যোগে লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ ও জলের মতো মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়৷ চাহান বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর রাওয়ালপিন্ডি সহ অনেক এলাকা ডুবে গেছে এবং ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে
পাকিস্তানে ফিরছে ২০২৩ এর সেই ভয়াবহ স্মৃতি৷ একটানা ভারী বৃষ্টি, রাস্তাঘাট কার্যত পরিণত হয়েছে নালা, ভেঙে পড়ছে দুর্বল বাড়িঘর, মৃত্যু মিছিল৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগে পর্যুদস্ত পড়শি দেশ পাকিস্তান৷ পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে একটানা ভারী বৃষ্টিপাত মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এখনও পর্যন্ত ৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ২৯০ জন আহত। বুধবার সকালে শুরু হয় এই ধ্বংসযজ্ঞ।
advertisement
বৃষ্টি এতটাই প্রবল ছিল যে অনেক জায়গায় পুরনো ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে, দেয়াল ভেঙে পড়ে এবং প্রাণ হারান মানুষ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও কয়েকজনের মারা যাওয়ার খবর সামনে এসেছে৷ রাওয়ালপিন্ডিতে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। অনেক জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ অনেক জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
advertisement
advertisement
advertisement
গত ২৬ জুন থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে পাকিস্তানে৷ এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১১৬ জন মারা গেছেন এবং ২৫০ জনেরও বেশি আহত। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাব প্রদেশে (৪৪ জন মারা গেছেন), তারপরে খাইবার পাখতুনখোয়া (৩৭), সিন্ধু (১৮) এবং বেলুচিস্তানে (১৬)। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) থেকেও একজনের মৃত্যু এবং পাঁচজন আহত হওয়ার তথ্য এসেছে।
advertisement
advertisement
২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ডুবে যায়। সেই বন্যায় প্রায় ১,৭০০ জন মারা যায় এবং দেশটির ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়। ২০২৩ সালে, জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছিলেন যে পাকিস্তান জলবায়ু সংকটের "দ্বৈত শিকার" - একটি হল জলবায়ুর প্রভাব, এবং অন্যটি হল বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উদাসীনতা।২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ডুবে যায়। সেই বন্যায় প্রায় ১,৭০০ জন মারা যায় এবং দেশটির ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়। ২০২৩ সালে, জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছিলেন যে পাকিস্তান জলবায়ু সংকটের "দ্বৈত শিকার" - একটি হল জলবায়ুর প্রভাব, এবং অন্যটি হল বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উদাসীনতা।