সেদেশের মানুষের বিপদের সময়, ইউএন-এর ‘মনুস্ক’ মিশনের অংশ হিসেবে বিশেষ দলের সঙ্গে ছুটে গিয়েছেন তিনি। সঙ্কটগ্রস্ত মানবতাকে রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছেন। এই অভূতপূর্ব কাজের জন্যই ‘পিস কিপিং’ মেডেল দেওয়া হয়েছে অরুনাভবাবুকে। সীমান্তের জেলা নদীয়ার বাসিন্দা হয়ে সূদূর আফ্রিকার দেশে বৃহৎ কর্মযজ্ঞ অংশিদারি হতে পারায়, তাঁকে নিয়ে গর্বিত জেলাবাসী।
advertisement
অরুণাভবাবু বলেন, আমরা একত্রিত হয়ে কাজ করেছি। কঙ্গো দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, তাঁদের নূন্যতম মানবধিকারগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল খাবার ও ওষুধ। একবছর ধরে এই কাজ চলেছে। তার জন্য পিস কিপিং মেডেল দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘের তরফ থেকে।
অরুণাভবাবু বিএসএফের হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাঁর বাড়ি নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের শিবনিবাসে। তাঁর বাবা অমিতাভ মুখোপাধ্যায় বিএসএফের প্রাক্তন ইন্সপেক্টর। দিল্লিতে অরুণাভবাবু পোস্টিংয়ে ছিলেন। ২০২৪ সালের মে’মাসে ইউনাইটেড নেশানের তরফ থেকে ভারতের ২১ জন মহিলা-সহ ১৬০ জন্য বিএসএফ জওয়ানকে কঙ্গো দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই দলেই রয়েছেন অরুণাভবাবু। এই মিশনের নাম দেওয়া হয় ‘মনুস্ক’। এই মিশনের লক্ষ্য ছিল, কঙ্গো সরকারকে সহায়তা প্রদান করে সেদেশের নাগরিকদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। পাশাপাশি একজন মানবিক কর্মী হিসেবে সেখানকার মানুষ মানবাধিকার রক্ষা করা।
দক্ষিণ আফ্রিকার কঙ্গো দেশের অস্থির পরিস্থিতির কথা অনেকেরই জানা। সেদেশের সরকারের সঙ্গে এম-২৩ জঙ্গী গোষ্ঠীর লাগাতার সংঘর্ষে, প্রশ্নের মুখে পড়েছে মানবতা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা সকল ক্ষেত্রেই বেহাল অবস্থা কঙ্গো দেশের। যদিও এই অস্থির পরিস্থিতির অন্যতম কারণ হল, সেদেশের মাটিতে থাকা বহুমূল্যবান খনিজ। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিম দুনিয়ার নজর রয়েছে সে দেশের উপর। তাই কঙ্গো দেশের বেহাল অবস্থার জন্য পশ্চিম দুনিয়াকেও দায়ি করেন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল। এই পরিস্থিতি ইউএন পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কঙ্গো দেশের। তার ভারত দেশের ইউএন-এর প্রতিনিধি হিসেবেই নির্বাচিত হয়েছিলেন অরুণাভবাবু।
Mainak Debnath