এদিন সকাল সাতটা থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে ইতস্তত ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় নদিয়ার ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক শান্তিপুর গোবিন্দপুর বাইপাস সংলগ্ন সিগন্যাল মোড়ের কাছে। পরবর্তীতে শান্তিপুর ট্রাফিক ওসি দীপক সিকদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিজেই তত্ত্বাবধান করেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের নাম জিৎ বিশ্বাস, বাবার নাম বিধান বিশ্বাস, বাড়ি নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের ষষ্টিতলা পাড়া এলাকায়।
advertisement
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির কুমোরটুলি, দুর্গাপুজোর আগে মহাসমস্যায় শিল্পীরা! কী যে হবে, জানেন না কেউ
ঘটনায় পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, সকালবেলায় বাবার সঙ্গে অদ্বৈত পাটে যাবে বলে বেরিয়েছিল জিৎ। এরপর বাবার অ্যাক্সিডেন্ট হলে সেখান থেকে ছিটকে যায় সে এবং ঢাকা পাড়া থেকে হেঁটে হেঁটে চলে আসে নদিয়ার শান্তিপুর গোবিন্দপুর সিগন্যাল সংলগ্ন এলাকায়। প্রখর গরমে তীব্র রোদে গরম পিচ রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে বারবার ভগবানকে স্মরণ করছে ওই যুবক রক্ষা করার জন্য। কর্তব্যরত দু-তিন জন সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং সচেতন নাগরিকরা চেষ্টা করেও তাকে কিছুতেই সরাতে পারছে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এরপর সকলে মিলে স্থানীয় এই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে দেখে উদ্ধার করে ট্রাফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরবর্তীতে ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর চালিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবককে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে। তবে পরিবার সেইভাবে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় ওই যুবককে বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। তবে এই সমস্ত ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে আগে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত বলেই বার্তা দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে।