TRENDING:

Nadia News: বদলে দিয়েছেন রোগী-ডাক্তারের সম্পর্ক! এই সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার এখন গরিবদের মসিহা

Last Updated:

ভাল থাকা শিশুদের অভিভাবকরা সুস্থ শিশুদের সঙ্গে নিয়ে ডাক্তার বাবুকে শুভেচ্ছা এবং সংবর্ধনা জানাতে এসেছিলেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রানাঘাট: ডাক্তার ভগবান! রোগীর দুরারোগ্য ব্যাধির যন্ত্রণা উপশমে, কিন্তু তা নিরাময় হলে কজন আর মনে রাখে? অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালে আউটডোর হোক কিংবা এমার্জেন্সিতে হাজার হাজার রোগীর পরিষেবা দিতে গিয়ে আন্তরিকতা ভুলে প্রায়শই রোগীর পরিবারের সঙ্গে ডাক্তারদের কিংবা স্বাস্থ্য কর্মীদের বাক বিতন্ডা উঠে আসে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। কিন্তু সঠিক পরিষেবা পেলে এবং তা যদি আন্তরিক হয় তাহলে রানাঘাটের হাসপাতালে আজকের এই ব্যতিক্রমী চিত্র উঠে আসে।
advertisement

যেখানে প্রায় ১০ থেকে ১২ টি শিশুর অভিভাবক তাদের শিশুরা নানা বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও শিশু বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মইদুলের আন্তরিক প্রচেষ্টায়, সঠিক সময় সঠিক ডায়াগনোসিস করা নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়া, এমনকি কলকাতার বিভিন্ন নামিদামি সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে নিজ দায়িত্বে ভর্তি করিয়ে সুস্থ করে তুলেছেন। সেই সমস্ত ভাল থাকা শিশুদের অভিভাবকরা সুস্থ শিশুদের সঙ্গে নিয়ে ডাক্তারবাবুকে শুভেচ্ছা এবং সংবর্ধনা জানাতে এসেছিলেন এদিন।

advertisement

আরও পড়ুন: বায়ু দূষণে চিন্তার কারণ শুধু দিল্লি, কলকাতা নয়! চিন্তার কারণ শান্তিপুরও! সামনে এল বুক কাঁপানো তথ্য

রানাঘাট প্রীতি নগর থেকে আগত শম্পা বাগচি দাস জানান, তার শিশুকন্যা মনীষাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করানোর হয় কোনভাবেই সে দাঁড়াতে পারছিল না বলে। কিন্তু ভর্তির পর থেকে পায়ে ব্যথা শুরু হয়ে যায়, অন্যান্য উপসর্গ কম হচ্ছিল না কিছুতেই। এভাবেই দুদিন কাটে কিন্তু মইদুল ডাক্তারবাবু দেখার পর থেকেই তিনি পিজিতে ফোন করে ভর্তির ব্যবস্থা করেন নিজেই এবং সেখানে গিয়ে সুস্থ হয় সন্তান। এত ব্যস্ততার মাঝেও ডাক্তারবাবু নিজে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন তাদের সঙ্গে, যা খুব বেশি লক্ষ্য করা যায় না ইদানিং।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: সংবিধান দিবসে বড় আয়োজন, স্কুলের প্রাথমিকের পড়ুয়ারা জানল সংবিধানের খুঁটিনাটি

বগুলা থেকে জুইয়া নামে এক শিশু কন্যাকে ১৫ দিনের জ্বর নিয়ে, মা মাহাসুদা মন্ডল সম্প্রতি কয়েকদিন আগে রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করেন, সেদিন শুক্রবার বিকাল ৪টে পর্যন্ত ডাক্তার বাবুর ডিউটি না থাকলেও শুধুমাত্র তার মেয়ের জন্যই ডাক্তার বাবু থেকে যান। জন্ডিসের মধ্যেই ধরা পড়ে হেপাটাইটিস বি। নিয়মিত চিকিৎসার ফলে মেয়ে আজ সুস্থ। তিনি বলেন কোথাও স্থানান্তরিত না করেই শুধুমাত্র মফস্বল এলাকার এই হাসপাতালে ডাক্তারবাবু নিজ দায়িত্বে সারিয়ে তুলেছেন সপ্তাহের শেষে ছুটিতে বাড়ি না গিয়ে। তিনি মনে করেন এ ধরনের ডাক্তারবাবুর জন্য তাদের মতন প্রান্তিক পরিবারদের দূরের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

advertisement

এরকমই বহু শিশুর অভিভাবক তাদের প্রাণপ্রিয় শিশুদের সুস্থতার জন্য এদিন হাসপাতালে এসেছিলেন ডাক্তার বাবুকে শুভেচ্ছা জানাতে, কিন্তু সদা ব্যস্ত ডাক্তারবাবু একবার সৌজন্য আলাপ করেই মনোনিবেশ করেন নিজের কাজে তাই মেলেনি বক্তব্য।

এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল সুপার ডঃ প্রহ্লাদ অধিকারী জানান, রোগীর পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা ডাক্তারের একটা অন্যতম কৃতিত্ব। একজন ডাক্তারের এই পেশায় আসার প্রথম অঙ্গীকার থাকে মানব সেবা আর সেই সেবা করতে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সকল অভিভাবকই যে অকৃতজ্ঞ কিংবা অধৈর্য তা নয়, অনেকেই ডাক্তারবাবুদের ভগবান বলে মানেন, অন্যদিকে ডাক্তার বাবুরাও চান না কাউকে কষ্ট দিতে। তবে এক্ষেত্রে শুধু ডঃ মইদুল নয় বেশ কিছু ডাক্তারবাবু স্বাস্থ্যকর্মী নার্স দিদিরা আছেন যারা নিয়মিত পরিষেবা দেওয়ার ফলে এই হাসপাতাল সমৃদ্ধ হয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Mainak Debnath

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nadia News: বদলে দিয়েছেন রোগী-ডাক্তারের সম্পর্ক! এই সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার এখন গরিবদের মসিহা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল